অস্ট্রেলিয়ার নয় উইকেট নেই হয়ে গেছে ততক্ষণে। লর্ডসের গ্যালারি থেকে তখন বিস্ময়, হাততালি।
এরপর মিচেল স্টার্কের সঙ্গে শেষ উইকেট জুটিতে ১৫ রান যোগ করেন তিনি। নিজে একটি বাউন্ডারি হাঁকান। অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নেন একটি রানও, লায়নের চোখেমুখে তখন ব্যথা ছিল স্পষ্ট। শেষ অবধি লর্ডস টেস্টে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ৩৭১ রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিনশেষে লায়ন জানিয়েছেন, দলের জন্য সবকিছু করতে পারেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ান তারকা বলেন, ‘মেডিকেল দলের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল চোটে পড়ার পর থেকেই। আমি জানতাম এটা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমি এই দলের জন্য সবকিছু করতে পারি। আপনি বলতে পারবেন না অ্যাশেজ সিরিজে ১৫ রানের জুটি কত বড় হতে পারে। আমি ওখানে যেতে পারায়, আর যা করেছি তার জন্য গর্বিত। ’
‘আমি এই দলকে ভালোবাসি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে ভালোবাসি। যদি আমার সতীর্থদের সাহায্য করতে পারি, আমি করবো। এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল (ব্যাটিংয়ে নামা)। আমি ম্যাকডোনাল্ড ও কামিন্সের সঙ্গে কথা বলেছি। অধিনায়ক কিছুটা দ্বিধায় ছিল কিন্তু আমি এই দলের জন্য যেকোনো কিছু করতে পারি। আমি এটা প্রয়োজনে আবার করবো। ’
দীর্ঘ ১২ বছরে ক্যারিয়ার লায়নের। লর্ডস টেস্টেই অনন্য এক কীর্তি গড়েন তিনি। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে টানা একশ ম্যাচ খেলার রেকর্ড করেন লায়ন। এর মাঝে বড় কোনো ইনজুরিতেও পড়েননি তিনি। তবে এবার দ্বিতীয় ম্যাচেই এসে শেষ হয়ে গেছে তার অ্যাশেজ।
এ নিয়ে লায়ন বলেন, ‘ইনজুরির অবস্থা অনেক খারাপ। আমি কান্না করছিলাম, আপসেট ছিলাম, ব্যথাও পাচ্ছিলাম অনেক। এটাই দেখায় এই দলটা আমার কাছে সবকিছু। আমি এখন ফিরে আসতে পুনর্বাসন যাত্রা শুরু করবো। এই দলে ভূমিকা রাখতে ও ভালোবাসার জন্যও। আমি চেষ্টা করছি প্রতিদিন উন্নতি করতে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৩১৮ ঘণ্টা, ২ জুলাই, ২০২৩
এমএইচবি