বৃষ্টি...
কয়েক বছর বা যুগ পরে যখন এবারের অ্যাশেজের কথা মনে করবেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা, তখন হয়তো এভাবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলবে। ‘বাজবল’ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নতুন বিপ্লব ঘটানো দলটি তাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাতেই ব্যর্থ।
সিরিজে শেষ ম্যাচটি এখন কেবলই নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জিতলে হয়তো ইংল্যান্ডের আফসোসটা আরও বাড়বে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার অবশ্য কোনো ক্ষতি থাকার কথা নয়। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে আছে তারা। ম্যানচেস্টার টেস্টের নিয়ন্ত্রণ খুব একটা তাদের হাতে না থাকলেও, আশীর্বাদ রূপে এসে বৃষ্টি ম্যাচটি ড্র করিয়ে দিল।
গতকাল চতুর্থ দিনে অবশ্য ৩০ ওভার খেলা হয়েছিল। কিন্তু আজ ম্যাচের শেষ দিনে ম্যানচেস্টারের আকাশে সূর্য উঁকি পর্যন্ত দেয়নি। উইকেট থেকে সরেনি কাভার। তাই আম্পায়াররা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দিনটি। তাতে অস্ট্রেলিয়ার মনে চলে খুশির উল্লাস। সবশেষ অ্যাশেজে নিজেদের মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। তাই এবার সিরিজ ড্র হলেও শিরোপা নিজেদের কাছে রাখবে তারা। আর জিতলে তো কথাই নেই!
ম্যানচেস্টারে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে জেতার রেকর্ড নেই কারও। কিন্তু ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস হাঁটলেন স্রোতের বিপরীতেই। অস্ট্রেলিয়াকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে গুঁড়িয়ে দেন ৩১৭ রানে। যেখানে পাঁচ উইকেট নেন ক্রিস ওকস।
জবাব দিতে নেমে অজি বোলারদের পুরোপুরি শাসন করে ইংল্যান্ড। বাজবল স্টাইলে খেলে ৫৯২ রানের বড় সংগ্রহ করে তারা। ১৮৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন জ্যাক ক্রলি। সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে ছিলেন বেয়ারস্টোর। এছাড়া ফিফটির দেখা পান মঈন আলী, জো রুট, হ্যারি ব্রুক ও স্টোকসও।
পৌনে তিনশ রানের লিড নিয়ে সফরকারীদের শুরু থেকে চেপে ধরে ইংল্যান্ড। যদিও একপ্রান্তে ঢাল হয়ে দাঁড়ান মার্নাস লাবুশেন। কিন্তু তার সেঞ্চুরিও স্বাগতিকদের কাছ থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। গতকাল বৃষ্টিতে খেলা হওয়ার আগ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২১৪ রান করেছিল অজিরা। পিছিয়ে ছিল ৬১ রানে। এরপর বৃষ্টি এসে স্বপ্নভঙ্গ করল ইংলিশদের।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
এএইচএস/জেএইচ