ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্রধানমন্ত্রীর দোয়ায় ভরসা তামিমের, অধিনায়কত্ব নিয়ে সন্তুষ্টি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর দোয়ায় ভরসা তামিমের, অধিনায়কত্ব নিয়ে সন্তুষ্টি

‘আপনারাই বিচার করবেন’ কেমন অধিনায়ক ছিলেন প্রশ্নের জবাবে তামিম বললেন এমন। এরপর অবশ্য ব্যাখ্যা দিলেন বিশদ।

তামিম ইকবাল দীর্ঘ ক্যারিয়ারের লম্বা সময়ে নেতৃত্বের কাছে ছিলেন না খুব বেশি। তিনি অধিনায়ক হতে পারেন, এমন ভাবনাও ছিল কম। মাশরাফি বিন মুর্তজার বিদায়ের পর শেষ অবধি নেতৃত্বের ভার আসে তামিমের কাঁধেই।

কেমন ছিলেন অধিনায়ক তামিম? এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে অনেক। তবে ফলাফল কথা বলবে তার পক্ষে, এমন বিশ্বাস তামিমের। ওয়ানডেতে ৩৭ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন তামিম। ২১টিতেই জয় পেয়েছে দল, অর্থাৎ জয়ের হার ৫৬.৭৫। ৮৮ ম্যাচে ৫০ জয়ে অধিনায়ক মাশরাফির সাফল্যের হার ৫৬.৮১।

এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে সিরিজ জয় ছিল স্মরণীয় ঘটনা। ওয়ানডে সুপার লিগ বাংলাদেশ শেষ করেছে তিন নম্বরে থেকে। তামিমের অধিনায়কত্বের ইতির কথা বৃহস্পতিবার জানান তিনি নিজেই। এরপর তার কাছে প্রশ্ন করা হয়, কেমন ছিল অধিনায়কত্বের এই পথচলা?

তামিম বলেন, ‘যাত্রা দারুণ ছিল। ফলাফলই সেই কথা বলবে। আমি অধিনায়ক হিসেবে মনে করি আমি ভালো করেছি। কিন্তু পাপন ভাইকে বলেছি যে এটা স্বার্থপরের মতো সিদ্ধান্ত হতো যদি অধিনায়ক থাকতাম। কারণ আমি একটা সিরিজ খেলছি না তারপরও জায়গাটা ধরে রাখি তাহলে প্রশ্ন থাকে। যারা আমাকে চেনেন তারা সবাই জানেন আমি নিজের চেয়ে দলকে এগিয়ে রাখি। ’
 
নেতৃত্বে নাম না থাকলেও দলের জন্য এগিয়ে আসার বার্তাও দেন তামিম, ‘আমি হয়তো নামে অধিনায়ক থাকবো না। কিন্তু একাদশে খেললে অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে কাজ করবো। তার মানে যে অধিনায়ক থাকবে তাকে আমার তরফ থেকে যতটুকু সাহায্য করা সম্ভব তার সবই করবো। ’

এ মাসের শেষেই শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে হবে এশিয়া কাপ। মাস দুয়েক পর হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই দুই টুর্নামেন্ট ঘিরে বাংলাদেশের বড় স্বপ্নও অনেকদিনের। যেগুলোতে অধিনায়ক থাকার কথা ছিল তামিমেরই। নেতৃত্বে থাকতে না পেরে আফসোস আছে তামিমেরও। তবে তিনি ভরসা রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর দোয়ায়।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছ মনে হয় সবার লক্ষ্যটা একই। একদিকেই তাকিয়ে আছি আমরা, আমি অধিনায়ক থাকি বা অন্য কেউ থাকুক লক্ষ্য একটাই। আমি যদি বলি যে আমি নাখোশ না, তাহলে মিথ্যা হবে কারণ এতদিন একটা দলের সঙ্গে ছিলাম। ৯০ ভাগ মানুষ স্বার্থপর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু যখন দল সামনে আসে তখন স্বার্থপরের ব্যাপারটা দূরে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমার এই সিদ্ধান্ত অ-স্বার্থপর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে কথা বলেছি যখন উনি আমাকে দোয়া দিয়েছেন তুমি মাঠে থাক এরপর আর কিছু বলার নেই। ’

বাংলাদেশ সময় : ১২০৫ ঘণ্টা, ৪ আগস্ট, ২০২৩
এমএইচবি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।