ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মাইকেল ক্লার্ককে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার প্রায় এক দশক বাদে আজ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই খেতাব গ্রহণ করলেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১৫ টেস্ট, ২৪৫ ওয়ানডে ও ৩৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ক্লার্ক। সব ফরম্যাট মিলিয়ে রান করেছেন ১৭ হাজারেরও বেশি। তার অধীনে ঘরের মাঠে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা দুর্দান্তভাবে রাঙান ক্লার্ক। ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে ১৫১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০০৫ সালের শেষ দিকে অবশ্য দল থেকে বাদ পড়েন। তবে ফেরার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
২৮ সেঞ্চুরিসহ অস্ট্রেলিয়াকে ৪৭ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্লার্ক। ঘরের মাঠে অ্যাশেজ জিতেছেন ৫-০ ব্যবধানে। ২০১৫ অ্যাশেজের পরই মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।
৬৪তম ক্রিকেটার হিসেবে হল অফ ফেমে যুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘ছেলেবেলায় যেসব দারুণ খেলোয়াড়দের আদর্শ ও রোল মডেল মেনে বেড়ে উঠেছি, তাদের সঙ্গে একই কাতারে বসার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। অবসর নিজের ভেতরে অনেক পরিবর্তন বয়ে আনে। এখন যখন ক্রিকেট দেখি, তখন কিছু মুহূর্ত খুব মিস করি। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললে মানুষ কেবল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলে, তবে আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ৬ বছর বয়সে। অবসর নিয়েছে ৩৪ বছর বয়সে, সুতরাং এটাই আমার জীবন। এখনো ক্রিকেট আমার জীবনের অংশ। ’
‘ক্রিকেট অনেকটাই জীবনের মতো। আপনি যখন সেঞ্চুরি করেন তখন ব্যাট উঁচিয়ে অভিবাদনের জবাব দেন। কিন্তু এরপর ফিল্ডিংয়ে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ মিস করে বসেন। ’
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পার্ট-টাইম বোলার হিসেবেও খ্যাতি ছিল ক্লার্কের। অভিষেক সিরিজেই মুম্বাই টেস্টে বাঁহাতি অফস্পিনে কেবল ৯ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষেই কেবল ১.৫ ওভারে ৫ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ জেতাতে ভূমিকা রাখেন সাবেক এই অধিনায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
এএইচএস