ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাকিবের বলে চার-ছক্কা, দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে জেতালেন হৃদয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
সাকিবের বলে চার-ছক্কা, দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে জেতালেন হৃদয়

সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে রান করতে পারলেন না। বড় সংগ্রহ পেলো না তার দলও।

বোলিংয়ে অবশ্য দলের একমাত্র বোলার হিসেবে উইকেট পেলেন তিনি। তবে জাতীয় দলের সতীর্থ তাওহীদ হৃদয়ের কাছে হলেন ধরাশায়ী। এই ব্যাটার দুর্দান্ত ইনিংসে জেতালেন দলকেও।  

শুক্রবার পাল্লেকেলেতে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গলে টাইটান্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে জাফনা কিংস। এই ম্যাচে আলাদা দলে খেলেছেন দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব ও হৃদয়। ব্যাট হাতে ৯ বলে ৬ রান করলেও বোলিংয়ে দুই উইকেট নেন সাকিব। ২৩ বলে ৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জাফনার হৃদয়।

টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গল। শুরুটা তত মন্দ হয়নি তাদের। ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় দলটি। কিন্তু চার বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে তারা। সাকিব যখন উইকেটে আসেন, তখন দলের রান ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৩।  

এ অবস্থায় দলের ইনিংস ধরে রাখার কাজটা করতে হতো সাকিবকে। সিঙ্গেল নিয়ে সেই চেষ্টাই করছিলেন তিনি। কিন্তু হুট করেই বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান। ওয়েলালালগের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৯ বল খেলে ছয় রান করেন সাকিব। সবগুলো রানই নিয়েছেন দৌড়ে।

তার বিদায়ের পর গলের ইনিংসও এগোয়নি সেভাবে। শেষ অবধি ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে থামে তারা। দলের পক্ষে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। জাফনার হয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন দিমুথ ওয়ালালগে।  

জবাব দিতে নেমে জাফনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। শুরুতে অবশ্য তাদের চাপে ফেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেট এনে দেন তিনি। প্রথম তিন বলে এক রান করে দেওয়ার পর চতুর্থ বলে চারিথ আশালাঙ্কাকে ফেলেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ১০ বলে ৫ রান করা এই ব্যাটার। প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট পান সাকিব।  

নিজের পরের ওভারটি অবশ্য স্বস্তির যায়নি সাকিবের। সেটি জাতীয় দলের সতীর্থ তাওহীদ হৃদয়ের জন্য। প্রথম বলেই সাকিবকে ছক্কা হাঁকান আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ। চতুর্থ বলে এসে স্ট্রাইক পান হৃদয়। সাকিবকে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকান তিনি। ওই ওভারে সাকিব দেন ১৭ রান।  

গুরবাজের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন হৃদয়। সাকিব আবার বোলিংয়ে আসেন ইনিংসে দশম ওভারে। এই ওভারেও সাকিবকে চার মারেন হৃদয়। যদিও ছয় বল থেকে আসে কেবল ৬ রান। নিজের কোটার শেষ ওভারে আবারও দলকে উইকেট এনে দেন সাকিব।  

তার বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে বলের লাইন মিস করেন গুরবাজ, হয়ে যান বোল্ড। এর আগে ৩টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৩৯ বলে করেন ৫৪ রান। হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫২ বলে ৮২ রানের। এতেই মূলত জাফনার হাতের মুঠোয় চলে আসে ম্যাচ।  

সাকিব তার বোলিংয়ের কোটা শেষ করেন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে। জাফনার হারানো দুটি উইকেটই নেন তিনি। আরেকদিকে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে টানা দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৪ ছক্কা ও ২ চারে ২৩ বলে করেন ৪৪ রান।  

বাংলাদেশ সময় : ২৩০৭ ঘণ্টা, ৪ আগস্ট, ২০২৩
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।