রোববার লিটন দাস যেতে পারেননি দলের সঙ্গে। তখন থেকেই আলাপটা টুকটাক চলছিল- এশিয়া কাপ কি খেলা হবে তার? শেষ অবধি জ্বর থেকে সেরে না উঠায় লিটন খেলছেন না এই টুর্নামেন্ট।
সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডাক পাননি ৩২ সদস্যের স্কোয়াডে। পরে ১৭ সদস্যের স্কোয়াড, রিজার্ভ, বিশেষ ক্যাম্প কোথাও অনুমিতভাবেই ছিলেন না বিজয়। তার হুট করে সুযোগ পাওয়া তাই কিছুটা হলেও বিস্ময়ের।
নির্বাচকরা ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন, লিটনের অনুপুস্থিতিতে উইকেটরক্ষক টপ অর্ডার ব্যাটার দরকার ছিল তাদের। এজন্যই বেছে নেওয়া বিজয়কে। যদিও তেমন হলে জায়গা পেতে পারতেন জাকির হাসান। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ছিলেন বিসিবির সব ক্যাম্পে।
কেন বেছে নেওয়া হলো বিজয়কে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বৃহস্পতিবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমাদের দলে একজন অতিরিক্ত উইকেটরক্ষক নেই, এটা একটা কারণ। লাইক ফর লাইক বদলি আমার মনে হয়। এছাড়া লিটন টপ অর্ডারে ব্যাট করে, বিজয়ও টপ অর্ডার ব্যাটার। মুশফিক ভাইয়ের যদি কিছু হয়, বিশেষ করে ম্যাচের সময়, দেখা গেল ওই দিন তিনি খেলতে পারছেন না। যেহেতু এখন একটা সুযোগ আছে উইকেটরক্ষক ম্যাচে না খেললেও কিপিং করতে পারবে তাই বিকল্প হিসেবে বিজয়কে নেওয়া। ’
লিটন দলের জন্য ছিলেন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দলের সহ-অধিনায়ক তো বটেই, আরেক অভিজ্ঞ উদ্বোধনী ব্যাটার তামিম ইকবালের অনুপুস্থিতিতে গুরু দায়িত্বটাও ছিল তার কাঁধে। দুজনের না থাকায় সাকিব আল হাসানের কি নিজেকে ব্যাটিং-অর্ডারে উপরে তুলে আনার কোনো সম্ভাবনা আছে?
বিসিবির পাঠানো ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এখন আসলে যদি পরিকল্পনা থাকেও সেটা আমি আপনাকে বলতে পারবো না। এটা হচ্ছে কথা। কিন্তু অবশ্যই আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। ব্যাক আপ প্লেয়ার যারা আছে, তাদের চেষ্টা করার একটা সুযোগ। নতুন যে প্লেয়ার আসবে তার জন্য একটা সুযোগ এখানে ভালো কিছু করার। ’
বাংলাদেশ সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২৩
এমএইচবি