চাপের মুখে শক্ত হাত হাল ধরলেন। উইকেটের পতন ঠেকিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে রাখলেন মুখ্য ভূমিকা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।
২০২৩ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। আজ বুধবার মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম।
আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল হক। যদিও প্রথম ওভারেই দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিল ফখর। কিন্তু এরপর খোলসে ঢুকে পড়েন তিনি। রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে অবশ্য লাভ হয়নি। পর পর দুই ওভারেই বিদায় নিয়েছেন দুই ওপেনার।
ষষ্ঠ ওভারে নেপালি পেসার করণ কেসির বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক আসিফ শেখের হাতে তুলে দেন ফখর। ২০ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। পরের ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন ইমাম। কলটা তারই ছিল। বাবর কিছুটা ইতস্তত করলেও দৌড়ে অপরপ্রান্তে পৌঁছে যান। কিন্তু ড্রাইভ দিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি ইমাম।
নেপালের পাউডেলের সরাসরি থ্রোয়ে যখন স্ট্যাম্প ভাঙে, ইমাম তখন অনেকটা দূরে। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই হাঁটতে শুরু করেন তিনি। বিদায়ের আগে ১৪ বলে ৫ রান করেন ইমাম। তবে সেখান থেকেই লড়াই শুরু করেন রিজওয়ান ও বাবর।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১০৬ বল স্থায়ী এই জুটি ভাঙে রিজওয়ানের ভুলে। ইমামের মতো তিনিও অযথা রানের জন্য দৌড় শুরু করেন এবং সময়মতো অপরপ্রান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। সরাসরি থ্রোয়ে স্ট্যাম্প ভাঙেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৫০ বলে ৪৪ রান করেন রিজওয়ান। এরপর চারে নামা সালমান আগা ফিরে যান দ্রুতই। নেপালি স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানের বলে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন সালমান। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় নিচু ক্যাচে পরিণত হয়, যা ডাইভ দিয়ে তালুবন্দি করেন ভুর্টেল।
সালমান ফেরার পরের ওভারেই ফিফটি তুলে দেন বাবর। তবে ততক্ষণে তিনি খেলে ফেলেন ৭২ বল। এ নিয়ে টানা তিন ইনিংসে ফিফটির দেখা পেলেন বাবর। তবে ৪ উইকেট হারানোর পাশাপাশি রান তোলার গতি কম হওয়ায় চাপ বাড়তে থাকে পাকিস্তানের ওপর। তবে সেই চাপকে পাত্তা না দিয়ে দারুভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। বাবর ও ইফতিখারের জুটিতে ২০০ পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তাদের জুটিও ১০০ ছাড়ায়। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ফিফটি স্পর্শ করেন ইফতিখার। পরের বলেই সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর।
১০৯ বলের মোকাবিলায় পাকিস্তানি অধিনায়ক দেখা পান ক্যারিয়ারের ১৯তম ওয়ানডে ফিফটির। ইনিংসের বিচারে যা সবচেয়ে দ্রুততম। ১৯টি ওয়ানডে শতক হাঁকাতে বাবরের লেগেছে ১০২ ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার হাশিম আমলা ১৯টি সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন ১০৪ ইনিংসে। আমলাকে টপকে নতুন রেকর্ড গড়লেন বাবর।
এশিয়ার দলগুলোর ওয়ানডে অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাবর। সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির। ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে তার ১২টি সেঞ্চুরি রয়েছে। বাবর ও ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, দুজনেরই অধিনায়ক অধিনায়ক হিসেবে আছে ৬টি করে সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
এমএইচএম