রানের পাহাড় জমা হয়ে গিয়েছিল আগেই। জয়টাও ছিল অনেকটা অনুমিত, ব্যবধানটা কেমন হয়; দেখার ছিল কেবল সেটিই।
বুধবার মুলতানে নেপালের বিপক্ষে ২৩৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রানের সংগ্রহ পায় তারা। জবাব দিতে নেমে নেপাল অলআউট হয়েছে কেবল ১০৪ রানে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে নেপাল। শাহিন শাহ প্রথমে ৪ বলে ৮ রান করা কুশল ব্রুতাল ও পরে প্রথম বলেই ফেরান রোহিত পৌডেলকে। নাসিম শাহের বলে ফেরেন ৫ বলে ৫ রান করা আসিফ শেখ, ইফতেখার আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
১৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নেপালের জন্য কিছুটা ভরসা যোগান আরিফ শেখ ও সম্পল কামাই। এ দুজনের কল্যানেই দলের রান একশ ছাড়িয়ে যায়। তাদের দুজনের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। ৩৮ বলে ২৬ রান করা আরিফকে বোল্ড করেন তিনি।
পরে তার সঙ্গী সম্পলকেও আউট করেন রউফই। ৪৬ বলে ২৮ রান করা সম্পল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তারা দুজন আউট হওয়ার পর নেপালের অলআউট হতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেবল গুলশান ঝা-ই দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেন ব্যক্তিগত রান। পাকিস্তানের পক্ষে শাদাব খান চারটি ও শাহিন শাহ, হারিস রউফ নেন দুই উইকেট করে।
এর আগে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ষষ্ঠ ওভারে নেপালকে প্রথম সাফল্য এনে দেন কারান ছেত্রী। ২০ বল খেলে ১৪ রান করে তার ওভারে উইকেটের পেছনে আসিফ শেখের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফখর জামান। পরের ওভারের প্রথম বলে রোহিত পৌডেলের মিড অফ থেকে করা সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে যান ইমাম উল হক। ১৪ বল খেলে স্রেফ ৫ রান করেন তিনি।
২৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। কিন্তু এবারও পাকিস্তানের দুর্ভাগ্যের কারণ হয় রান আউট। কাভারে ফেলে রান নিতে গিয়ে দৌড় শুরু করেন রিজওয়ান। কিন্তু ৬ চারে ৫০ বলে ৪৪ রান করা এই ব্যাটারের পা ও ব্যাট দুটোই ছিল বাতাসে ভেসে।
দ্রুতই আগা সালমানকে আউট করে পাকিস্তানের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন সন্দীপ লামিচানে। ১৪ বল খেলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন সালমান। কিন্তু এরপরই শক্ত ভিত গড়ে তোলেন বাবর ও ইফতেখার আহমেদ। বাবর তুলে নেন ওয়ানডেতে নিজের ১৯তম সেঞ্চুরি, ইনিংসের হিসেবে সবচেয়ে দ্রুততম হয়ে।
৪২তম ওভারে এসে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাবর। ওই ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান। ওভার প্রতি পাকিস্তান করছিল ৫.৪২ রান। কিন্তু শেষ ৪৮ বলে ১১৪ রান তোলে পাকিস্তান।
ইফতেখার আহমেদের সঙ্গে বাবরের জুটি ছিল ২১৪ রানের, স্রেফ ১৩১ বলে। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে সম্পল কামির বলে ক্যাচ আউট বাবর। এর আগে ৪ ছক্কা ও ১৪ চারের ইনিংসে ১৩১ বলে করেন ১৫১ রান। সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া আরেক ব্যাটার ইফতেখার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৭১ বলে ১০৯ রান করেন।
বাংলাদেশ সময় : ২২০১ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট, ২০২৩
এমএইচবি