চাপ সামাল দেওয়ার বার্তা ছিল তাদের ব্যাটিংয়ে। জুটিও মজবুত করে ফেলেছিলেন প্রায়।
ইনজুরির কারণে মূল দলের বেশ কজন বোলারকে বাইরে রেখে এশিয়া কাপের দল সাজাতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। তাই বোলিংয়ে তাদের মূল ভরসা স্পিনার মাহিশ থিকশানা। পাল্লেকেলেতে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তার হাতে বল তুলে দেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তাকে হতাশ করেননি থিকশানা। নিজের দ্বিতীয় বলেই তানজিদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ডানহাতি এই স্পিনার। শেষ বলটি আউটসাইড লেগে পিচ না করলে নাজমুল হোসেন শান্তকেও শিকার করে ফেলতেন তিনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে চতুর্থ ওপেনার ও ১৬তম ব্যাটার হিসেবে অভিষেকেই ডাক মারলেন তানজিদ। এর আগে সবশেষ ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে অভিষেকেই শূন্য রানে ফিরেছিলেন রফিকুল ইসলাম। অষ্টম ওভারে নাঈমকে তুলে নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ২৩ বলে ৩ চারে ১৬ রান করেন নাঈম। পাওয়ার প্লের পর হাল ধরার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পাথিরানার অতিরিক্ত গতিতে কাবু হয়ে ফিরতে হলো সাকিবকে। খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
রানের গতি না বাড়লেও এরপর চাপ সামাল দিতে থাকেন শান্ত ও হৃদয়। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু কেবল ৫৯ রান পর্যন্তই থিতু হলো এই জুটি। ২৪তম ওভারের শেষ বলে শানাকার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন হৃদয়। ৪১ বলে ২০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। যদিও তার আউটে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সফল হয় লঙ্কানরা। এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি স্পর্শ করেন শান্ত। ৫৩ রানে ব্যাট করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এএইচএস