ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সেঞ্চুরির আগেই ফিরলেন শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
সেঞ্চুরির আগেই ফিরলেন শান্ত

যোগ্যসঙ্গী না পেয়ে একাই লড়াই করতে থাকেন তিনি। ঢাল হয়ে দাঁড়ান লঙ্কান বোলিং লাইন আপের সামনে।

কিন্তু সেঞ্চুরি না করার আক্ষেপেই পুড়তে হলো শেষ পর্যন্ত। মাহিশ থিকশানার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২২ বলে ৭ চারে ৮৯ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি চলে যাওয়ায় ২০০ পেরোনো মুশকিল হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে টাইগাররা।

ইনজুরির কারণে মূল দলের বেশ কজন বোলারকে বাইরে রেখে এশিয়া কাপের দল সাজাতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। তাই বোলিংয়ে তাদের মূল ভরসা স্পিনার মাহিশ থিকশানা। পাল্লেকেলেতে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তার হাতে বল তুলে দেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তাকে হতাশ করেননি থিকশানা। নিজের দ্বিতীয় বলেই তানজিদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ডানহাতি এই স্পিনার। শেষ বলটি আউটসাইড লেগে পিচ না করলে নাজমুল হোসেন শান্তকেও শিকার করে ফেলতেন তিনি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে চতুর্থ ওপেনার ও ১৬তম ব্যাটার হিসেবে অভিষেকেই ডাক মারলেন তানজিদ। এর আগে সবশেষ ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে অভিষেকেই শূন্য রানে ফিরেছিলেন রফিকুল ইসলাম। অষ্টম ওভারে নাঈমকে তুলে নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ২৩ বলে ৩ চারে ১৬ রান করেন নাঈম। পাওয়ার প্লের পর হাল ধরার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পাথিরানার অতিরিক্ত গতিতে কাবু হয়ে ফিরতে হলো ৫ রান করা সাকিব আল হাসানকে। খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

রানের গতি না বাড়লেও এরপর চাপ সামাল দিতে থাকেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু কেবল ৫৯ রান পর্যন্তই থিতু হলো এই জুটি। ২৪তম ওভারের শেষ বলে শানাকার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন হৃদয়। ৪১ বলে ২০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। যদিও তার আউটে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সফল হয় লঙ্কানরা।  এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি স্পর্শ করেন শান্ত। মুশফিককে নিয়ে নতুন করে জুটি গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

তবে ৩১তম ওভারেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন মুশফিক। পাথিরানার বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস  বলটি তালুবন্দী করলেও আউটের কোনো আবেদন করেনি শ্রীলঙ্কা। আম্পায়ারও ছিলেন নিশ্চুপ। কিন্তু ৩৩তম ওভারে ঠিকই পাথিরানার শিকারে পরিণত হন মুশফিক। শর্ট বলে আলতো ছোঁয়ায় থার্ডম্যান অঞ্চলে বল পাঠান তিনি। কিন্তু বল গ্যালারিতে আছড়ে পড়ার আগেই আশ্রয় নেয় দিমুথ করুনারত্নের হাতে। ৫ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ রান আউট হয়ে ফেরেন। মাহেদী হাসান এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৬ রান।

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।