ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আচমকা সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ ঘোষণা শ্রীলঙ্কার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
আচমকা সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ ঘোষণা শ্রীলঙ্কার

কিছুক্ষণ পরেই এশিয়া কাপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে মাঠে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এর আগেই দেশটির ক্রিকেটে দেখা গিয়েছে দ্বন্দ্ব।

ক্রিকেট কাঠামো পুনর্গঠন নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিরোধের জেরে দেশটির সব ধরনের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।  

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড জানায়, ‘বোর্ড পরিচালিত সব ধরনের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলমান মেজর ক্লাব তিন দিনের টুর্নামেন্ট এবং ‘বি’ স্তরের আমন্ত্রণমূলক ক্লাব তিন দিনের টুর্নামেন্টও এর আওতাধীন। ’

২০২১ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছিলো। ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো পুনর্গঠন নিয়ে বোর্ডে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা হয়েছিল। এবার একইভাবে বন্ধ হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেট। মূলত বোর্ডের সদ্য বিলুপ্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি দুই স্তরের কাঠামো বাতিল করে দুটি গ্রুপে ১৩টি করে দল নিয়ে তিন দিনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুপারিশ করেছিল। এই কমিটির প্রধান ছিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি অরবিন্দ ডি সিলভা।  

এই কমিটির পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুই গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা দুটি করে মোট চার দল প্রথম দুই বছরের জন্য অবনমিত হবে। আর তৃতীয় বছর থেকে অবনমিত হবে তিনটি করে দল। সেটা হলে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দলের সংখ্যা ১৫–তে নেমে আসত। এর মধ্য দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট সংস্কৃতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বাড়ত বলে মত দিয়েছিল ওই কমিটি।

তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে অবনমিত হওয়া দলগুলো তিন দিনের টুর্নামেন্টে আর অংশ নিতে পারত না। তারা খেলতে হতো গভর্নরস ট্রফিতে। যেটি একটি সীমিত ওভারের টুর্নামেন্ট। এই বিষয়টি বুঝতে পেরে অবনমিত হওয়া বেশ কয়েকটি ক্লাব কম ম্যাচ পাওয়ার ও অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের টুর্নামেন্টে নেমে যাওয়ার অভিযোগ দিয়েছিল।  

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুন লঙ্কান বোর্ড জরুরি সভা ডাকে। সেখানে দুই স্তরের টুর্নামেন্টের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট চাওয়া হয়। বোর্ড সদস্যদের অনুমোদন সাপেক্ষে ওই মাসেই মেজর ক্লাব তিন দিনের টুর্নামেন্ট এবং ‘বি’ স্তরের আমন্ত্রণমূলক ক্লাব তিন দিনের টুর্নামেন্ট শুরু হয়। সভায় নতুন গঠিত ‘বি’ স্তরের টুর্নামেন্টে কোন কোন দল অংশ নেবে, সেটাও ঠিক করে দেয় বোর্ড। জানায়, গত বছরে অবনমিত হওয়া চার দলের সঙ্গে গভর্নরস ট্রফির শীর্ষ ছয় দল নিয়ে হবে প্রতিযোগিতা।  

কিন্তু গভর্নরস ট্রফির পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকে থাকা গেস্টো ক্রিকেট ক্লাব (জিসিসি) এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়। তারা বিষয়টি আদালতে নিয়ে যায়। সেখানে অবশ্য পাত্তা পায়নি ক্লাবটি। তবে থেমে না থেকে তারা চলে যায় সরাসরি শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে। সেখান থেকেই পরবর্তীতে আসে সিদ্ধান্ত। ক্রীড়ামন্ত্রীর নির্দেশে মহাপরিচালক গত ২৫ আগস্ট লঙ্কান বোর্ডকে একটি চিঠি পাঠায়।  

চিঠিতে লেখা ছিল, শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইন অনুযায়ী, এসএলসি তাদের সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চায় এলএসসি। কিন্তু মন্ত্রণালয় এখনো সাড়া না দেওয়ায় বন্ধই করে দেওয়া হলো বোর্ড পরিচালিত সব ধরনের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।