একদিনের খেলা গড়ালো দ্বিতীয় দিনে। রিজার্ভ ডে-তেও ছিল বৃষ্টি, তবে শেষ অবধি এসেছে ফল।
সোমবার কলম্বোতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের কাছে ২২৮ রানে হেরেছে পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। জবাব দিতে নেমে ১২৮ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
এই ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেলে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের ফাইনালের ক্ষীণ সম্ভাবনাও আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যেতো। তবে এখন সেটি রয়েছে। এজন্য শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে ভারত-পাকিস্তান দুই দলকেই। তখন শেষ ম্যাচে বাংলাদেশে জিতলে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা তৈরি হবে। কারণ তখন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারতের সমান একটি করে জয় থাকবে। এরপর দেখা হবে রান রেট।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটি ছিল রোববার, সেদিন বৃষ্টির বাধায় খেলা রিজার্ভ ডেতে আসে। ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ভারত। সোমবার একটি উইকেটও নিতে পারেননি পাকিস্তানের বোলাররা। উইকেটে থাকা বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৩ হাজার রান পূর্ণ করার পথে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৪ বলে ১২২ রান করেন কোহলি। লম্বা ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা রাহুল ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১০৬ বলে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তান আগের দিনই দুই উইকেট পেয়েছিলেন, একটি নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি আর অন্যটি শাদাব খান। এদিন অবশ্য চোটের কারণে তাদের হয়ে বল করতে পারেননি হারিস রউফ।
বড় রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ব্যাটাররাও শুরু থেকেই চাপে পড়ে যান। দলটির হয়ে কোনো ব্যাটার ৩০ রানও করতে পারেননি। ৫০ বল খেলে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটার ফখর জামান। এছাড়া আগা সালমান ও ইফতেখার আহমেদ করেন ২৩ রান করে। আর একজন ব্যাটারই ব্যক্তিগত সংগ্রহ দুই অঙ্কে নিতে পেরেছেন, ২৪ বলে ১০ রান করেন বাবর আজম।
পাকিস্তানের শেষ দুই ব্যাটার নাসিম শাহ ও হারিস রউফ অবশ্য ব্যাটিংয়েই নামেননি। ভারতের পক্ষে একাই পাঁচ উইকেট নেন কুলদ্বীপ যাদব। ৮ ওভারে ২৫ রান দেন তিনি। এর বাইরে একটি করে উইকেট পেয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুর।
বাংলাদেশ সময় : ১১৩১ ঘণ্টা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি