ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ভারতের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ভারতের

পরপর দুই ম্যাচে ফিফটি পেলেন ভারতের চার ব্যাটার। ওয়ানডে ইতিহাসে যা প্রথম।

শুভমান গিল ও শ্রেয়াস আইয়ার ফিফটির গণ্ডি পেরিয়ে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। মাঝে লোকেশ  রাহুলের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস ও শেষ দিকে সূর্যকুমার যাদবের তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ দাঁড় করালো ভারত। ৫ উইকেটে ৩৯৯ রান তোলে তারা।

৪০০ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে নামার কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টির বাধায় পড়ে অজিরা। বৃষ্টি শেষে লক্ষ্যটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। জিততে হলে ডিএলএস ৩৩ ওভারে করতে হতো ৩১৭ রান। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার ও শন অ্যাবটের ফিফটির পরও ২১৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৯ রানের বড় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলল ভারত।

ইন্দোরে টস জিতে আগে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় সফরকারীরা। শুরুতেই রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে হারায় ভারত। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২০০ রান এনে দেন আইয়ার ও গিল। শন অ্যাবটের শিকার হওয়ার আগে ৯০ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৫ রান করেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া আইয়ার। গিল ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৯৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৪ রান করেন ফর্মে থাকা এই ব্যাটার। দুইজন সেট ব্যাটার ফিরলেও পথ হারায়নি ভারত। ইশান কিশানকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন রাহুল। এরপর সূর্যকুমারের সঙ্গে যোগ করেন আরও ৫৩ রান। ফিফটির পরপরই অবশ্য ক্যামেরন গ্রিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। সাজঘরে যাওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫২ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক।

এরপর সূর্যের আগুনে পুড়ে ছারখার  হয়ে যায় অজি বোলাররা। যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন ইনিংস শেষ হতে বাকি ছিল কেবল ৫৮ বল। এর মধ্যে সূর্য একাই খেললেন ৩৭টি। সমান ছয়টি করে চার ও ছক্কায় ৭২ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন গ্রিন। তবে এর পেছনে তাকে খরচ করতে হয়েছে ১০৩ রান। এক ওভারে সূর্যের হাতে টানা চার ছক্কা হজম করেন এই অলরাউন্ডার।  

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে অজিদের ব্যাটিং। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হেনে ম্যাথু শর্ট ও স্টিভ স্মিথকে শিকার করেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খুব বেশিক্ষণ সামলাতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ৩৯ বলে ৫৩ রান করে। এরপর আটে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন শন অ্যাবট। নবম উইকেট জুটিতে জশ হ্যাজেলউডকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। কিন্তু তা শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৪ রান করেন অ্যাবট। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন ও জাদেজা। ম্যাচসেরা হয়েছেন ইনজুরি থেকে ফিরে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা আইয়ার।

 

বাংলাদেশ সময় : ১১১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩

এএইচএস 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।