ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘ডিআরএস’ নিয়ে ভুল স্বীকার করলো আইসিসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
‘ডিআরএস’ নিয়ে ভুল স্বীকার করলো আইসিসি

উসামা মীরের ডেলিভারিটি স্কিড করে সোজা আঘাত হানে রাসি ফন ডার ডুসেনের প্যাডে। পাকিস্তানি ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আউটের ইঙ্গিত দেন আম্পায়ার পল রাইফেল।

সন্তুষ্ট না হয়ে রিভিউ নেন ডুসেন। সেখানেই সব বিতর্কের শুরু।  

খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল বলটি স্টাম্প বরাবর থাকবে না। ডিআরএস নেওয়ার পর বল ট্র্যাকিংয়েও দেখা যায় বল স্টাম্পে লাগেনি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই আরও একবার বল ট্র্যাকিং প্রদর্শন করা হয়। যেখানে দেখা যায় বলের নিচু ভাগের কিছু অংশ স্টাম্পে আঘাত হানে। তাই আম্পায়ার্স কল বহাল থাকায় সাজঘরে ফিরে যান ডুসেন।

কিন্তু একই ডিআরএসের জন্য দুটি ভিন্ন বল ট্র্যাকিং বিতর্ক সৃষ্টি করে। ভুল স্বীকার করে আইসিসি জানায় পরের বল ট্র্যাকিংই সঠিক ছিল। আইসিসির এক মুখপাত্র বলেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মধ্যকার আজকের (গতকাল) ম্যাচে রাসি ফন ডার ডুসেনের এলবিডব্লিউ রিভিউ করার সময় একটি অসম্পূর্ণ গ্রাফিক ভুলভাবে প্রদর্শিত হয়। সঠিক বিবরণসহ পরিপূর্ণ গ্রাফিকটি পরে প্রদর্শিত হয়েছিল। '

ডিআরএস বিতর্কের এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের ৪৬তম ওভারে হারিস রউফের শেষ ডেলিভারিটি প্যাডে লাগে তাবরেইজ শামসির। কিন্তু আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার হোয়ার্ফ। শেষ উইকেটের জুটিটি ভাঙতে ডিআরএসের আশ্রয় নেয় পাকিস্তান। কিন্তু বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল স্টাম্পে লাগে ঠিকই, কিন্তু বলের ৫০ভাগের বেশি অংশ থাকে স্টাম্পের বাইরে। তাই বহাল থাকে আম্পায়ারের নট আউট সিদ্ধান্ত, বেঁচে যান শামসি।

আম্পায়ার্স কল না থাকলে দিনশেষে এক উইকেটে হারতে হতো না পাকিস্তান। ম্যাচশেষে অবশ্য তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেননি অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি বলেন, ‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি (আম্পায়ার) আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেত। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়ে গেছে, সেটা খেলারই অংশ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।