দলের অর্ধেক খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের ক্যাম্পে। আছে বেশ কিছু অপরিচিত মুখও।
শুক্রবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে ৯ রানে হারিয়েছে আবাহনী। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ ওভার ৪ বল খেলে ৩০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় আবাহনী। পুরো ৫০ ওভার খেলেও ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রানের বেশি করতে পারেনি মোহামেডান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী। ওখান থেকে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে দলের জন্য ত্রাণকর্তা হন সাব্বির হোসেন। দুজনের জুটি ছিল ১১৭ রানের। এই জুটিটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। তার বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৮ বলে ৯১ রান আসে সাব্বিরের ব্যাটে।
২০১৯ সালের এপ্রিলের পর আবারও সেঞ্চুরির দেখা পান মোসাদ্দেক। খেলেছেন নিজের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসও। ৮ চার ও ১০ ছক্কায় ১০১ বল খেলে ১৩৩ রান করেন তিনি। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে তার বিদায়ের পর আর কেবল ১৬ রানই করতে পেরেছে আবাহনী। মোহামেডানের হয়ে এদিন তিন উইকেট করে নিয়েছেন আবু হায়দার রনি ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মোহামেডানেরও। ৪৫ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। পরে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়েন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ইমরুল ৬০ বল খেলে ৫৯ রান করেন। তবে অঙ্কন খেলেন খুবই ধীরগতিতে। ৬০ বলে একটি করে চার ও ছক্কা মেরে ৩৬ রানে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
শেষদিকে গিয়ে আবার দলের হয়ে আশা জাগান রুবেল মিয়া ও আবু হায়দার রনি। ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৬২ বলে ৬৫ রান করে রুবেল ও ২৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার রনি। এ দুজনের ৯৬ রানের জুটি মোহামেডানকে ম্যাচ জেতাতে পারেনি।
শিরোপা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে আবাহনীর। এখন কেবল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। শেষ ম্যাচ জিতলে অপরাজিত থেকেই লিগ শেষ করবে ধানমন্ডির ক্লাবটি। ১৫ ম্যাচ খেলে ১১ জয় নিয়ে এখন তাদের পরের অবস্থানে আছে মোহামেডান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ