ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরের পাশেই বসলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। এখন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ চলছে সিলেটে।
ওই অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ অ্যালারডাইসের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন জ্যোতি। তার কাছে প্রশ্ন ছিল ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ নিয়ে। উত্তরে জ্যোতি শোনালেন টেনশনের (চিন্তা) কথা। এর সঙ্গে অবশ্য স্বপ্নপূরণের উচ্ছ্বাসও ছিল জ্যোতির কথায়।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত দেখেন এখন পর্যন্ত কিন্তু নিশ্চিত না, যেহেতু চারটা মাস এখনও আছে, আমি নিজেও জানি না খেলতে পারব কি না। আল্লাহ যদি আমাকে রক্ষা করেন, যদি সুস্থ থাকি, আর কোনো ইস্যু যদি না থাকে তাহলে হয়তো। ’
‘এটা আমি বলতে চাই প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার। সবাই খেলে, কিন্তু খুবই কম সংখ্যক খেলোয়াড় এটা করতে পারে। আমাদের দলে যারা আছি, এবং কমবেশি হয়তো এখান থেকে সবাই খেলবেন। তারা অনেক বেশি সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশের মাটিতে আমরা বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব। ’
জ্যোতির টেনশনের কারণ ঘরের মাঠের চাপ। এখন অবধি চারটি বিশ্বকাপে খেলেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপে তারা হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে। এরপর আর বিশ্বকাপে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। ওই আক্ষেপ এবার ঘোচানোর লক্ষ্য জ্যোতিদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বেশি রোমাঞ্চিতর চেয়ে বলব যে একটু টেনশনও কাজ করছে। কারণ হোম দর্শক থাকবে। সবাই চাইবে আমরা ভালো করি। আমরা এখন কঠিন সময় পার করছি। হয়তো অনেকের অনেক সংশয় আসতে পারে। কিন্তু তবুও বলব যে এই দলটা অনেক ভালোও করছে। আমাদের হাতে যে সময় আছে, আমরা যদি আরেকটু ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারি। ’
‘নিজেদেরকে যদি আরেকটু ভালোভাবে তুলে ধরতে পারি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে আক্ষেপটা আছে, আমরা যে চারটা বিশ্বকাপ খেলেছি ২০১৪ ছাড়া আর কোনোটিতে ম্যাচ জিততে পারিনি। আমাদের ফোকাস প্রথমে থাকবে যেন আমরা ম্যাচ জিততে পারি বাস্তবসম্মতভাবে। এবং অবশ্যই সবার যদি সাপোর্ট, দোয়া এবং সবাই যদি সেরাটা চেষ্টা করতে পারি; বিশ্বকাপটা হয়তো আমরা রঙিন করে রাখতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস