টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করার জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের একমাত্র সুযোগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এই টুর্নামেন্টের বাইরে আর ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই তাদের।
কিন্তু আলোর মুখ দেখছে না এই টুর্নামেন্ট। এবারের সুপার লিগ হয়েছে তীব্র তাপদাহের মধ্যে। এটিকে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান বলেছেন ‘অমানবিক’। তিনি বলছেন, টি-টোয়েন্টিতে করা যেতো সুপার লিগ। এ নিয়ে সোমবার মিরপুরে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, ‘আমি কী সুপার লিগটা হঠাৎ করে লিস্ট এ টুর্নামেন্টকে টি-টোয়েন্টি করে দিতে পারি। এটা কী ইচ্ছে মতো করা যায়। মানে এটা তো সুযোগই নাই। নম্বর টু জিম্বাবুয়ে, জিম্বাবুয়ের এটা তো আগে এফটিপি করা। এখানে তো..আমি বুঝতে পারছি না যে এগুলো...। আমার মনে হচ্ছে, আমি যেটা বললাম, এই যে আপনারা এখন এটা নিয়ে কথা বলছেন, প্রশ্ন করছেন এটার জন্যই ও বলে গেছে। ’
ভারতে আইপিএলের বাইরেও বেশ কিছু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়। কিন্তু বাংলাদেশে অনেকদিন ধরে আলাপ চললেও বাস্তবে কেন সম্ভব হয় না? এমন প্রশ্ন ছিল পাপনের কাছে। তিনি কিছু বাস্তবতার কথা তুলে ধরেছেন।
পাপন বলেন, ‘এটা করতে গেলে তাহলে বিসিবিকে করতে হবে। ক্লাবগুলো ইন্টারেস্টেড হবে বলে আমার মনে হয় না, ফ্র্যাঞ্চাইজিও কোনোটা ইন্টারেস্টেড হবে বলেও আমার মনে হয় না। একটা সিম্পল জিনিস বলে রাখি, আমাদের দেশে এখনও এই জিনিসটা আছে যে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা না থাকলে ওই খেলার আকর্ষণ তারা ইন্টারেস্টেড হয় না। ক্লাবগুলোও না, ফ্র্যাঞ্চাইজিও না। ’
‘ওদের জন্য আলাদা আরেকটা করা যেতে পারে। সেটা তো অবশ্যই ভালো হবে, খারাপ কী। কিন্তু জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের খেলার কোনো সুযোগ নাই। এখন যে ওদের সূচি, এটা অসম্ভব। অলরেডি আমি মনে করি তাদের ওপর দিয়ে অনেক বেশি চাপ যাচ্ছে। ’
অন্য দেশগুলোতে হওয়া নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে পাপন বলেন, ‘অন্যান্য দেশে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা না থাকলেও কিছু হয় না। আমাদের এখানে আবার যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি বা ক্লাব ওরা আবার জাতীয় দল ছাড়া করতে চায় না, ইন্টারেস্ট পায় না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ