শুরুটা ভালো না হলেও উইল জ্যাকস ও রজত পাতিদারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পাশাপাশি ক্যামেরন গ্রিনের অপরাজিত ইনিংসে ভালো সংগ্রহ পায় দলটি।
আইপিএলের ৬২তম ম্যাচে ৪৭ রানে জয়লাভ করে বেঙ্গালুরু। ঘরের মাঠে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ১৮৭ রান। জবাবে ১৯.১ ওভারে ১৪০ রানে সবগুলো উইকেট হারায় দিল্লি।
ফাফ ডু প্লেসিকে হারিয়ে শুরু হয় বেঙ্গালুরুর ইনিংস। আইপিএল জুড়ে লড়ে যাওয়া বিরাট কোহলিও এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। তৃতীয় উইকেটে থিতু হন পাতিদার ও জ্যাকস। দুজনে গড়েন ৫৩ বলে ৮৮ রানের জুটি। ২৯ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করা পাতিদারকে ৫২ রানে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন রাশিখ সালাম। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জ্যাকসও। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।
পাঁচে নেমে ধীরগতিতে ব্যাট চালাতে থাকেন গ্রিন। ২৪ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে দলের সংগ্রহ ১৮০ পার করেন তিনি। বাকিদের কেউই তেমন উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট নেন খলিল ও সালাম।
রান তাড়ায় নেমে চতুর্থ বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন দিল্লি ওপেনার ওয়ার্নার। তবে বরাবরের মতোই তাণ্ডব চালানো শুরু করেন জ্যাক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক। তবে ২১ রানেই বিদায় নিতে হয় তাকে। ৮ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই অজি ব্যাটার। তিনে নামা পোরেল করেন স্রেফ ২ রান। চারে নামা শাই হোপ ২৯ রান করে ফার্গুসনের শিকার হন।
ছয়ে নেমে লড়তে থাকেন অক্ষর প্যাটেল। তবে অপরপ্রান্তে উইকেটে থিতু হতে পারছিলেন না কেউই। অবশ্য একপ্রান্ত সামলে ফিফটি পার করেন অক্ষর। যদিও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ৩৯ বলে ৫৭ রান করে তার বিদায়ের পর দ্রুতই গুটিয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। বেঙ্গালুরুর হয়ে ৩.১ ওভারে ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন ইয়াশ দয়াল। ফার্গুসন ধরেন দুটি শিকার।
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে থেকে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে থাকা দিল্লি আছে ছয় নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
আরইউ