প্লে অফে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকতে হলে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করতে হতো দিল্লি ক্যাপিটালসকে। অপরদিকে লক্ষ্ণৌর দরকার ছিল জয়।
আইপিএলের নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ লক্ষ্ণৌকে ১৯ রানে হারিয়েছে দিল্লি। অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ২০৮ রান। জবাব দিতে নেমে ১৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি লক্ষ্ণৌ।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বিধ্বংসী ওপেনার জ্যাক ফ্রেসার ম্যাকগার্ককে হারিয়ে শুরুটা হয় দিল্লির। তবে তার অভাব বুঝতে দেয়নি অভিষেক পোরেল ও শাই হোপ। ৪৯ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন তারা। ২১ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন পোরেল। তবে হোপ পারেননি। ২৭ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি পোরেলও। ৩৩ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
মাঝে রিশভ পন্থ এসে যোগ করে ৩৩ রান। তার বিদায়ের পর পঞ্চম উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন ট্রিস্টান স্টাবস ও অক্ষর প্যাটেল। তাণ্ডব চালিয়ে ২২ বলে স্টাবস তুলে নেন অর্ধশতক। পাশাপাশি অক্ষরের সঙ্গে অর্ধশতরানের জুটিতে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করেন। ২৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অক্ষর অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ১৪ রান করে।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি লক্ষ্ণৌর। স্রেফ ৪৪ রানে তারা হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। এরপর খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে আনেন নিকোলাস পুরান। ব্যাট চালাতে থাকেন দ্রুতগতিতে। ২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা এই ব্যাটার অবশ্য ৬১ রানেই থামেন। তার ২৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। সাতে নেমে ক্রুনাল পান্ডিয়া লড়েন কিছুক্ষণ। তবে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
শেষদিকে একাই লড়েন আরশাদ খান। দলের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে যান এই ব্যাটার। ২৫ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করলেও জেতাতে পারেননি দলকে। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দিল্লির হয়ে দারুণ বোলিং করেন ইশান্ত শর্মা। একাই তিনি নেন ৩ উইকেট।
গ্রপপর্বের ১৪ ম্যাচের সবগুলো খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে আছে দিল্লি। বাকি দলগুলোর বাজে পারফরম্যান্সই কেবল পারবে তাদের প্লে অফে খেলাতে। যদিও এটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অপরদিকে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সাতে লক্ষ্ণৌ। তাদের বাকি আছে আরও এক ম্যাচ। তবে পরবর্তী পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
আরইউ