চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবাল অসুস্থ হয়ে বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গেই আছেন তামিম। সেখান থেকেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন, 'আপনারা জানেন, বড় ভাইয়ের অসুস্থতায় আমার পরিবারের একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। আমিও দেশের বাইরেই আছি। তবে দেশে যা হচ্ছে, তা জেনে মনটা আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। '
তিনি আরও লিখেছেন, 'কোনো রক্তপাত, কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই কোনো সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান হোক। এই অস্থিরতা দ্রুত কেটে যাক। দেশ ও দেশের মানুষ ভালো থাকুক। '
এদিকে গতকাল তাওহীদ হৃদয় ও শরিফুল ইসলামের পর আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসাইন ধ্রুব ও তানজিদ হাসান তামিম।
মুশফিকুর রহিম পড়ালেখা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরব এই কোটা সংস্কার আন্দোলনে। সোমবার রাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিকার হয় আক্রমণের। বেশ কয়েকজন হন আহত। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পরদিন শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন শিক্ষকও। মুশফিক চান না নিজের প্রতিষ্ঠানে এভাবে চলুক সহিংসতা।
সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান করে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে, আমি আমার ভাই-বোনদের উপর আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না। আমার শিক্ষকরা যারা অতুলনীয় সাহস দেখিয়ে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছিল তাদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা। এটা মেনে নেয়া কঠিন কোন ছাত্রের জন্য যে তার শিক্ষক হেনস্তা হয়েছেন। যা খুবই নিন্দনীয় বলে আমি বিশ্বাস করি। যে কোন উপায়েই হোক এই রক্তপাত বন্ধ হোক। শান্তি আসুক। ’
‘সংশ্লিষ্টরা সমাধানের শান্তিপূর্ণ রাস্তা বের করবেন এটাই অনুরোধ। আল্লাহ আমাদের ঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন। ’
চলমান এই সংকট নিরসন চান আফিফ হোসাইন ধ্রুবও। তিনি বলেন, ‘দেশটা আমাদের সবার। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, অশান্তিতে নয়। আমার কোনো ভাই-বোনের রক্ত আর না ঝরুক। যৌক্তিকভাবে চলমান সংকট নিরসন হোক। চলমান পরিস্থিতি দ্রুতই শান্তিতে রূপ নেবে। স্বাভাবিক হয়ে যাবে সবকিছু, এমনটাই আশা রাখি। ’
ভাই-বোনের এভাবে রক্ত ঝরা দেখতে চান না তানজিদ হাসান তামিমও। সবকিছু সমাধানের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া কোন রাজপথ আর আমার ভাই-বোনের রক্তে রঞ্জিত না হোক। সঠিক পদক্ষেপ ও যৌক্তিকতা বজায়ে রেখে সবকিছুর সমাধান হোক। ’
গতকাল এক পোস্টে হৃদয় লিখেছেন, ‘সব কিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি... আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি আর রক্তাক্ত না হোক। ’
জাতীয় দলের পেসার শরিফুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন ক্রিকেটার হলেও একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৪
এমএইচএম