কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
সোহান লিখেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্ম দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হয় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে তারা কতটা শক্তিশালী। সত্যি বলতে তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত হতে দিলে তারাই বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে পারে। তাদের মধ্যে ওই সাহস, শক্তি ও নিস্বার্থতা আছে। তারাই পারবে আমাদের দেশের এই স্বার্থপরতার সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে। ’
‘তাই দয়া করে তাদেরকে বিপথগামী করার চেষ্টা করবেন না। তাদেরকে নষ্ট করবেন না। ’
এর আগে গতকাল তাওহীদ হৃদয় ও শরিফুল ইসলামের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসাইন ধ্রুব ও তানজিদ হাসান তামিম। ওই দিন রাতেই ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া দেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো তারকারাও।
মুশফিকুর রহিম পড়ালেখা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরব এই কোটা সংস্কার আন্দোলনে। সোমবার রাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিকার হয় আক্রমণের। বেশ কয়েকজন হন আহত। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পরদিন শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন শিক্ষকও। মুশফিক চান না নিজের প্রতিষ্ঠানে এভাবে চলুক সহিংসতা।
সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান করে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে, আমি আমার ভাই-বোনদের উপর আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না। আমার শিক্ষকরা যারা অতুলনীয় সাহস দেখিয়ে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছিল তাদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা। এটা মেনে নেয়া কঠিন কোন ছাত্রের জন্য যে তার শিক্ষক হেনস্তা হয়েছেন। যা খুবই নিন্দনীয় বলে আমি বিশ্বাস করি। যে কোন উপায়েই হোক এই রক্তপাত বন্ধ হোক। শান্তি আসুক। ’
‘সংশ্লিষ্টরা সমাধানের শান্তিপূর্ণ রাস্তা বের করবেন এটাই অনুরোধ। আল্লাহ আমাদের ঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন। ’
চলমান এই সংকট নিরসন চান আফিফ হোসাইন ধ্রুবও। তিনি বলেন, ‘দেশটা আমাদের সবার। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, অশান্তিতে নয়। আমার কোনো ভাই-বোনের রক্ত আর না ঝরুক। যৌক্তিকভাবে চলমান সংকট নিরসন হোক। চলমান পরিস্থিতি দ্রুতই শান্তিতে রূপ নেবে। স্বাভাবিক হয়ে যাবে সবকিছু, এমনটাই আশা রাখি। ’
ভাই-বোনের এভাবে রক্ত ঝরা দেখতে চান না তানজিদ হাসান তামিমও। সবকিছু সমাধানের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া কোন রাজপথ আর আমার ভাই-বোনের রক্তে রঞ্জিত না হোক। সঠিক পদক্ষেপ ও যৌক্তিকতা বজায়ে রেখে সবকিছুর সমাধান হোক। ’
এক পোস্টে হৃদয় লিখেছেন, ‘সব কিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি... আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি আর রক্তাক্ত না হোক। ’
জাতীয় দলের পেসার শরিফুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন ক্রিকেটার হলেও একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ১৮ জুলাই, ২০২৪
আরইউ