ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল দারুণ, কিন্তু শেষটা হলো লজ্জানক পরাজয়ে। কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের অধীনে এমন হার আর দেখেনি ইংলিশরা।
দ্য কিয়া ওভালে পাঁচ দিনের টেস্ট চার দিনে জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেই জয়টাও এলো ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে ধবলধোলাই এড়াল লঙ্কানরা। ঘরের মাটিতে তিন টেস্টের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড।
এই ম্যাচটা জিতলেই ২০ বছরে এই প্রথম ঘরের মাটিতে কোনো ম্যাচ না হারার রেকর্ড গড়ে ফেলতো ইংল্যান্ড। কিন্তু কঠিন এক সিরিজ হাসিমুখে শেষ করে ইংলিশদের সেই আশার গুঁড়ে বালি ছিটিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ১০ ম্যাচ পর জয় পেল লঙ্কানরা।
মূলত দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। যার জের থাকে চতুর্থ দিনের শুরুতেও। ২১৯ রানের লক্ষ্যে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ১ উইকেটে ৯৪ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিনে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রান। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার কুশল মেন্ডিস (৩৯) আজ দিনের শুরুর দিকে গাস অ্যাটকিনসনের বলে শোয়েব বশিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তখনও ১১১ রান লাগতো।
কিন্তু নিশাঙ্কা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস মিলে বাকিটা সামলে নেন দারুণভাবে। নিশাঙ্কা তুলে দেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩ বছরের বেশি সময়।
নিশাঙ্কা অবশ্য একবার ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু হাফ-চান্স কাজে লাগাতে পারেননি থার্ডম্যান অঞ্চলে থাকা বশির। অবশ্য ততক্ষণে ম্যাচ ইংল্যান্ডের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। নিশাঙ্কা ম্যাচ শেষ করে আসার পথে ১২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাথিউস ব্যাট করছিলেন ৩২ রানে। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই আসে বাকি ১১১ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় টেস্ট)
ইংল্যান্ড ৩২৫ (পোপ ১৫৪, ডাকেট ৮৬) এবং ১৫৬ (স্মিথ ৬৭, কুমারা ২১/৪)
শ্রীলঙ্কা ২৬৩ (ডি সিলভা ৬৯, স্টোন ৩৫/৫) এবং ২১৯/২ (নিশাঙ্ক ১২৭*)
ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী, ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে সিরিজজয়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪
এমএইচএম