বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটার তৈরির বড় মঞ্চ জাতীয় ক্রিকেট লিগ। এই টুর্নামেন্টই লাল বলের প্রস্তুতির জন্য ভরসা।
এবারের এনসিএল শুরু হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। এই টুর্নামেন্টকে ‘পিকনিক ক্রিকেট’ বলায় আপত্তি আছে সিলেটের ক্রিকেটার জাকের আলি অনিকের। ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে তার আলাপে আসে এনসিএল প্রসঙ্গ।
জাকের বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার খুবই কষ্ট লাগে, অনেকে বলে যে, পিকনিক ক্রিকেট। এই জিনিসটা খুব কষ্ট লাগে। আমরা জানি, আমরা কতটা কষ্ট করে খেলি ক্রিকেটার হিসেবে। তাই দয়া করে এই কথাগুলো বলবেন না। আমি এই কথায় খুব দুঃখ পাই। ’
‘আমি ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি। আমি জানি, আমার কতটা কষ্ট হয়। একেকটা রান করতে কতটা কষ্ট হয়েছে। তাই সবার কাছে অনুরোধ থাকবে। ক্রিকেটার হিসেবে আমরা অনেক কষ্ট করি। আরও কষ্ট করব ইনশাআল্লাহ্। আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিনে দিনে উন্নতি হচ্ছে। আরও হবে। ’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের চেনামুখ জাকের। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পথচলা শুরু হয়েছে সাদা বলের ক্রিকেটে। এবার লাল বলেও সুযোগ পেয়েছেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কোন কোচের অবদান এ নিয়ে।
জাকের বলেন, ‘সবশেষ কয়েকটা দিন যে আমরা অনুশীলন করলাম... সোহেল স্যার, বাবুল স্যার। উনারা অনেক পরিশ্রম করেছেন। দুই শিফটেও কাজ করেছেন। সকাল বেলা আমাদের লাল বলের ক্রিকেট দেখেছেন। বিকেলে আবার সাদা বলের ক্রিকেট দেখেছেন। উনার কী পরিমাণ কষ্ট করছেন, আপনারা বোঝেন। ’
‘অবশ্যই ঘরোয়া কোচদের অবদান থ্যাংকলেস বলা যায়। উনাদের সেভাবে হাইলাইট করা হয় না। কারও নাম ধরে বলতে চাই না। সবারই অবদান আছে। প্রত্যেক কোচের সঙ্গে আমার কাজ করা হয়েছে। সবাইকে ছোটবেলা থেকে চিনি। উনারা আমাদের খুঁটিনাটি সব জানেন। উনাদের সঙ্গে ফ্রি-লি কাজ করা যায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম