ঢাকা, সোমবার, ৫ কার্তিক ১৪৩১, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মিরপুরে এবার ‘নতুন কিছুর’ চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
মিরপুরে এবার ‘নতুন কিছুর’ চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

লিটন দাসের হাতে বল, তিনি হাতও ঘুরালেন। তার সঙ্গে তখন দাঁড়িয়ে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।

লিটন কি তাহলে গ্লাভস ছেড়ে মিরপুর টেস্টে বলই করবেন? আপাতত তেমন মনে করার কোনো কারণ নেই। কারণ এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও গ্লাভস হাতের অনুশীলনই করেছেন লিটন।  

তার বোলিংয়ের উদ্দেশ্য সম্ভবত একটুখানি স্বস্তি খুঁজে বেড়ানো। অথবা কে জানে, মিরপুরে যে ‘স্পিন ফাঁদ’ বসবে তার একটা আগাম বার্তাও। ম্যাচের উইকেটের পাশেরটিতে এর প্রস্তুতিও সেরে রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ-নাঈম হাসান। কখনো হাততালি দিয়ে, কখনো পরামর্শ দিয়ে তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।  

মিরপুরের চিরাচরিত নিয়মই হচ্ছে, স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পান এখানে। এর সঙ্গে যদি কোনো দল হয় উপমহাদেশের বাইরের, তাহলে তাদের বিপক্ষে অবধারিতভাবেই তৈরি হয় স্পিন ফাঁদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তেমন আভাসই মিলছে।  

সাকিব আল হাসান না থাকলেও তার জায়গা নেবেন কোনো স্পিনারই, নাঈম হাসানের সম্ভাবনা বেশি। এমনিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই সিরিজে ‘ফেভারিট’ থাকার কথা বাংলাদেশেরই। ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজ ভালো না কাটলেও এর ক’দিন আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল তারা।  

দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটাতেও অভিজ্ঞতার ধার নেই একদমই। দলের কোনো ক্রিকেটারই কখনো মিরপুর তো দূর, বাংলাদেশেই কখনো টেস্ট খেলেননি। এর মধ্যে বাংলাদেশ স্পিন দিয়ে চেপে ধরবে তাদের। এ নিয়ে অবশ্য খুব একটা চিন্তিত নন মার্করাম।  

তার ভাষায়, ‘স্পিন অবশ্যই আলোচনার বিষয়, বিশেষ করে যখন কি না আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছি। আমাদের দেশে এমন কন্ডিশন পাই না। আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর এক চ্যালেঞ্জ। তাও তরুণ একটা দল, যারা এখানে টেস্ট খেলেনি। নতুন কন্ডিশনে খেলা সবসময় রোমাঞ্চকর। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচ এবং ভবিষ্যতে উপমহাদেশের খেলায় কাজে লাগাতে হবে। ’

সবশেষ ১০ বছর উপমহাদেশে কোনো টেস্ট জেতেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে একবার বাংলাদেশে এসেও বৃষ্টিবিঘ্নিত দুটি টেস্টেই ড্র করে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে অবশ্য স্রেফ দুটি ড্রই সম্বল।  

এর সঙ্গে এবার বাংলাদেশকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে আরও একটি সুযোগ। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো ভেতর কেবল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষেই জয় নেই বাংলাদেশের। স্পিন ফাঁদে ফেলেই ওই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ, সংবাদ সম্মেলনে শান্তর কথাতেও আঁচ পাওয়া গেছে তার।  

‘স্পিনারদের বাড়তি ভূমিকা তো থাকবেই, সবসময় যেটা থাকে, অতীতেও দেখেছি। অতিরিক্ত কিছু আশা করছি না। অতীতে যেভাবে বল করেছে স্পিনাররা সেভাবেই বল করবে। প্রক্রিয়া যেন ঠিক থাকে। প্রতিটি বল যেন দলের জন্য করি। বাড়তি কোনো কিছু চাই না স্পিনারদের কাছ থেকে। ২০ উইকেট নেওয়া প্রসেসের ব্যাপার। প্রসেস ঠিক রাখলে ভালো ফলাফল করা সম্ভব। ’

ম্যাচ ছাপিয়ে এখন অবশ্য জোর আলোচনা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। মিরপুর টেস্ট খেলে অবসরে যেতে চেয়েছিলেন তিনি, ওই সুযোগ পাচ্ছেন না। এ নিয়ে রোববারও পুরো বিকেল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  

নতুন কোচ ফিল সিমন্স গতকাল ও অধিনায়ক শান্ত আজ জানিয়েছেন, মাঠের বাইরের সবকিছু পেছনে ফেলে ‘ক্রিকেটে মনোযোগ’ দিতে চান তারা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়তে হলে, সেটি করতেই হবে তাদের।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।