ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মিরপুরের উইকেট দেখে ‘বিস্মিত’ রাবাদা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪
মিরপুরের উইকেট দেখে ‘বিস্মিত’ রাবাদা

মিরপুরে স্বভাবতই থাকে স্পিনারদের দাপট। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্টেও ছিল তেমন প্রত্যাশিতই।

কিন্তু টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে গুড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসার কাগিসো রাবাদা ও উইয়ান মুল্ডার।

তারা দুজন মিলেই ছয় উইকেট পেয়েছেন। তাদের বলে গতি ছিল, মাঝেমধ্যে বাউন্সও ছিল অসম। পেসারদের এমন সুবিধা পেতে দেখে কিছুটা বিস্মিতই হয়েছেন রাবাদা। আরেকটু ভিন্ন উইকেটের আশা ছিল তার, এটিও লুকাননি।  

তিনি বলেন, ‘উইকেটের আচরণ দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম বল ঘুরবে। তবে পেসাররাও মুভমেন্ট পাবে ভাবিনি। নতুন বলে মুভমেন্ট ছিল। তেমন সুইং ছিল না। তবে অফ দা উইকেট কিছুটা সিম মুভমেন্ট ছিল। ’

‘সত্যি বলতে, নেটে এরকমই ছিল উইকেট। নেটের সঙ্গে মাঠের উইকেট প্রায় মিলে গেছে। স্পিনারদের জন্য টার্ন ছিল এবং সিমাররাও সিম মুভমেন্ট পাচ্ছিল। আমাদের জন্য এটি কিছুটা বিস্ময়কর ছিল। আমরা উইকেট তৈরি করিনি। এই ম্যাচের জন্য এই উইকেট তৈরি করা হয়েছে। এই তো। ’

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে সবমিলিয়ে ১৬জন ব্যাটার আউট হয়েছেন। শুরুতে ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ, এরপর ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্রুত রান তোলার ‍যুগে এরকম উইকেট নিয়ে রাবাদার ভাবনা কী?

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটে ভারসম্য থাকা দরকার। আপনি ব্যাট ও বলের মধ্যে একটা সমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা চাইবেন। আমরাও তেমন উইকেটই চাই। আপনি এটা নিয়ে তর্ক করতে পারেন যে বোলিং ইউনিট অথবা ব্যাটিং ইউনিট তেমন পারফর্ম করছে না। ’

‘আপনি এই ভারসম্যটাই চাইবেন। কিন্তু একদিনে ১৬ উইকেট পড়ে যাওয়া, আমি মনে করবো এটা কিছু বোলারদের দিকে ঝুঁকে যাওয়া। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট ও বলের একটা সমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকা উচিত। যেখানে বোলাররা ভালো করলে কিছু পাবে, ব্যাটাররাও ঠিকঠাক করতে পারলে রান করবে। ’

এই ম্যাচে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রাবাদা। এই মাইলফলকের পথে সবচেয়ে দ্রুততম রাবাদা। এসব ভাবনায় রেখে মাঠে নামেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে মাইলফলক ছুতে পারা তাকে অনুপ্রাণিত করবে বলেও জানান।  

রাবাদা বলেন, ‘আমি যখন আজকে সকালে বল করতে এসেছি, সত্যিই শেষ উইকেট নিয়ে ভাবিনি। কীভাবে এই টেস্টটা জিততে পারি, তাতেই নজর ছিল। বিশেষত টস হেরে বোলিং পাওয়ার পর। যখন এটা ঘটলো, স্বস্তির ছিল। ’

‘সবাই মাইলফলকের জন্য খেলে, কিন্তু এটা স্বস্তির। যেভাবে আমার সতীর্থরা সমর্থন করেছে, একে-অন্যকে সাহায্য করেছি। এটা খুব বিশেষ মুহূর্ত ছিল। রেকর্ডের ব্যাপারে আমি জানতাম না কিন্তু এটা আমাকে আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।