শুরুতেই রেকর্ড গড়ে ফেলেন শ্রেয়াস আয়ার। গত আসরেই রেকর্ড দামে মিচেল স্টার্ককে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
যদিও সেটি কেবল মিনিট বিশেকের জন্য। রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয় ঋষভ পন্তকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত ২৭ কোটি রুপিতে তার ঠিকানা হয়েছে লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস। পন্ত ও আয়ার দুজনেই তাদের পুরোনো ঠিকানা ছেড়ে এসে রেকর্ড গড়েছেন।
গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করেন আয়ার। এরপরও তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। পাঞ্জাবে তার সঙ্গী হবেন দিল্লি ক্যাপিটালসের সাবেক কোচ রিকি পন্টিং। তার আগ্রহের কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে আয়ারের, ধারণা করা হচ্ছে এমন।
লক্ষ্মৌর লোকেশ রাহুলকে ছেড়ে দেওয়ার পর তাদের একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটার ও নেতা দরকার ছিল। তারা সেটি খুঁজেছে পন্তের কাছে, রেকর্ড ২৭ কোটিতে কিনেছে তাকে। পন্তের পুরোনো ঠিকানা দিল্লিতে যাওয়া রাহুল পেয়েছেন ১৪ কোটি রুপি।
স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের দাম উঠেছে ১৮ কোটি রুপি, তাকে কিনেছে পাঞ্জাব কিংস। তবে কিছুটা চমকই বলা যায় ভেঙ্কাটেশ আয়ারের ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হওয়া। নিলামের মাঝে কলকাতার সিইও ভেঙ্কি মাইশোর পরে বলেছেন, তারা চ্যাম্পিয়ন দলের ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে চেয়েছেন।
ভেঙ্কাটেশ আয়ার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, কলকাতার অধিনায়কত্ব পেলে সাদরেই গ্রহণ করবেন তিনি। এত দাম তার দায়িত্বও বাড়িয়ে দিয়েছে। কলকাতার গতবারের অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার চলে যাওয়ার পর জায়গাটা এখনও ফাঁকাই আছে।
আর্শ্বদীপ সিংকে ১৮ কোটিতে রুপিতে নিলাম থেকে ধরে রেখেছে পাঞ্জাব। ১০ কোটি রুপিতে মোহাম্মদ শামিকে পেয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৮ মৌসুম রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা মোহাম্মদ সিরাজ এবার ১২ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে গেছেন গুজরাটে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ঠিকানা বদলে গুজরাট টাইটান্সে গেছেন জশ বাটলার। ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে তাকে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। গত মৌসুমের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার স্টার্ককে এবার ১১ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে নিয়েছে দিল্লি। অবিক্রিত থেকে গেছেন তার স্বদেশি ডেভিড ওয়ার্নার।
নিলামের প্রথম দিন খেলোয়াড় কেনার পেছনে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ৪৬৭ কোটি ৯৫ লাখ রুপি খরচ করেছে। নিলাম অবশ্য এখনও শেষ হয়নি। আগামীকাল বিকেল চারটায় ফের জেদ্দায় শুরু হবে। প্রথম দিন বাংলাদেশি কেউ উঠেননি।
বাংলাদেশ সময় :
এমএইচবি