ওভেড ম্যাককওয়েকে বোল্ড করলেন তাসকিন আহমেদ। মুখে তার মুচকি হাসি, বাকিদেরও তাই।
শুক্রবার সকালে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে সফরকারীরা। ওই রান তাড়া করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে সবগুলোতেই জিতলো বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে তারা।
টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সাদা বলে রান খরায় ভোগা লিটন দাস এই ম্যাচে শুরুটা বেশ ভালো করেন। কিন্তু ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। রোমারিও শেফার্ডের বলে এক্সট্রা কাভারে দাঁড়ানো ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে দেন। ১৩ বলে ১৪ রান করে আউট হন লিটন।
পাওয়ার প্লের ভেতরই আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। ২১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আলজারি জোসেফের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৯ বলে ৯ রান করে আউট হন তানজিদ হাসান তামিমও।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি গড়েন জাকের আলি অনিকের সঙ্গে। তাদের ৩৭ রানের জুটিটি ভাঙে দলের রান একশ পেরিয়ে যাওয়ার পর। ২৩ বলে ২৯ রান করে রস্টন চেজের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো গ্রেভসকে ক্যাচ দেন তিনি।
তখনও দেখেশুনেই খেলছিলেন জাকের আলি। মাঝে শামীম ও মাহেদী হাসান রান আউট হয়ে গেলে একটু চাপ বাড়ে, তাতে দায় ছিল জাকেরেরও। কিন্তু পরে তিনিই ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের মোড়।
তানজিম হাসান সাকিব এসে সঙ্গ দেন জাকেরকে। ৫০ রানের জুটিতে ১২ বলে ১ চার ও ছক্কায় ১৭ রান করে আউট হন তানজিম। জাকেরের ঝড় তুঙ্গে উঠে শেষ ওভারে গিয়ে। এর আগেও রান তোলার গতি ঠিকঠাকই ছিল তার। কিন্তু শেষ ওভারে গিয়ে তিন ছক্কায় তিনি তোলেন ২৫ রান। ওই তিনটি ছক্কাও মারেন টানা, এর মধ্যে স্টেডিয়ামও পার করেন বল। ৪২ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। বাংলাদেশও পায় বেশ বড় সংগ্রহ।
রান তাড়ায় নামা ক্যারিবীয়ানদের প্রথম উইকেট নিতে স্রেফ দুই বল সময় লাগে বাংলাদেশের। তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ব্রেন্ডন কিং। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ফেরান জাস্টিন গ্রেভসকে। ৫ বলে ৬ রান করে স্লগ সু্ইপ করতে গিয়ে লং অনে দাঁড়ানো আফিফকে ক্যাচ দেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়ে ১০ বলে ১৫ রান করা নিকোলাস পুরানকে বোল্ড করেন মাহেদী হাসান। ছয় ওভারে ৪৫ রান তুলতে তিন উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সপ্তম ওভারে উইকেট পান হাসান মাহমুদ।
৪ বলে শূন্য রান করে রস্টন চেজ ক্যাচ দেন মিড অফে দাঁড়ানো মাহেদী হাসানের হাতে। এতক্ষণ ধরে একপ্রান্তে আগলে ছিলেন জনসন চার্লস। কিন্তু চেজ আউট হওয়ার দুই বল পর মিড অফ থেকে চার্লসের করা সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ২৩ রানে ফেরেন চার্লস।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৬ বলে ৩৫ রান করেন গুদাকেশ মোতি ও রোমারিও শেফার্ড। লং অফে দাঁড়িয়ে রিশাদের বলে মোতির ক্যাচ ধরেন তানজিম হাসান, ভাঙে এই জুটি। পরের ১৪ রানে বাকি উইকেটগুলো নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন রোমারিও শেফার্ড। বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন রিশাদ।
বাংলাদেশ সময় : ০৯৩৯ ঘণ্টা, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
এমএইচবি