তিনি যখন ক্রিজে আসেন, তখনও জয় অনেকটা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। সাজঘরে ফিরতে দেখেন মাহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেও।
কঠিন কাজটিকেই সম্ভব করে ফেলেছেন নুরুল হাসান সোহান। ফরচুন বরিশালের কাইল মেয়ার্সের ওভারে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩০ রান নেন তিনি। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে রংপুর অধিনায়ক জানালেন, শেষ ওভারে ২৬ রান করাটা সম্ভবই মনে হয়েছিল তার কাছে।
সোহান বলেন, ‘আগের ওভারে যখন নেমেছিলাম খুশদিল দুটা ছক্কা মেরেছিল, সে বলেছিল এই ম্যাচ জেতা সম্ভব। রাব্বি যখন এলো শেষ ওভারে ২৬ রান লাগবে, রাব্বি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন রাব্বি ভাই বলেছিল তুমিই খেলো ছয়টা বল তুমি যদি.. আমার কাছে মনে হয় ইনশাআল্লাহ ভালো শেপে থাকলে মারতে পারলে হয়ে যাবে। ’
‘তখনই আসলে জিনিসটা আমাদের কমিউনিকেশনের মাধ্যমে হয়েছে। তারপর দেখেন প্রথম বলে ছক্কা হয়েছে, তখন আস্তে আস্তে গ্রিপটা আরও বেড়েছে যে ইনশাআল্লাহ সম্ভব। ’
শেষ ওভারে ২৬ রান দরকার ছিল রংপুরের। প্রথম পাঁচ বলেই সোহান নেন ২৪ রান। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল দুই রানের। তখন কী পরিকল্পনা ছিল? সোহান বলছেন, বড় শটই খেলতে চেয়েছিলেন তিনি।
রংপুর অধিনায়ক বলেন, ‘বড় শটের পরিকল্পনা ছিল. অবশ্যই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে যেটা হবে আমি সেটাই চাচ্ছিলাম যে এক-দুই ওরকম কিছু না। যদি আমার জোনে পাই ওভার বাউন্ডারি মারব বা বাউন্ডারি হোক এই অপশনে যাচ্ছিলাম। ’
নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে সোহান নিয়েছিলেন দুই রান। পরের ছয় বলে হাঁকিয়েছেন বাউন্ডারি। সবমিলিয়ে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৭ বলে ৩২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। জেতাতে পেরেছেন দলকেও। এটিই কি সোহানের সেরা ইনিংস?
তার উত্তর, ‘দেখেন আমি যেখানে ব্যাটিং করি সবাই ভুলে যায়, এটা নতুন কিছু নয়। ব্যাট হ্যাঁ, অবশ্যই সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা টিমের জন্য অবদান রাখতে পারছি, এটা আলহামদুলিল্লাহ। যেহেতু টিমকে জেতাতে পেরেছি তো এটা সেরা ইনিংসের একটি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
এমএইচবি/এএইচএস