৫ আগস্ট রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার পড়ে যায় অনিশ্চয়তায়। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলেছিলেন তিনি।
এরপর তাকে নিয়ে এক ধরনের দোদুল্যমানতা তৈরি হয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিনি থাকবেন কি না, এ নিয়েও আলোচনা ছিল। এর মধ্যেই বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করেন তিনি। সম্প্রতি আরও একবার পরীক্ষা দিয়েও অ্যাকশন বৈধ হওয়ার ছাড়পত্র পাননি তিনি।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উতরাতে না পারার কথা জানায় বিসিবি। রোববার তাকে ছাড়াই ঘোষণা করা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড। সাকিব কি বিচেনায় ছিলেন এই টুর্নামেন্টের জন্য? এমন প্রশ্ন ছিল প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যায় পরীক্ষায় নেগেটিভ তাই শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন। আমরা তাকে দল গঠনে ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করেছি। কিন্তু কম্বিনেশনে শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে জায়গা দেওয়া যায়নি। ’
‘সাকিবের ব্যাপারটা ভিন্ন। অ্যাকশন নিয়ে ঝামেলায় ছিলেন। সাধারণত অপারেশনস থেকে আলাপ হয়। সেই প্রসেসই ফলো করা হয়েছে। আমরা অপারেশনস থেকেই ফিডব্যাকটা পাচ্ছি। ’
এই টুর্নামেন্টের আগে তামিম ইকবালকেও দলে ফেরানোর চেষ্টা ছিল নির্বাচকদের। সিলেটে বিপিএল চলাকালীন তার সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন তারা। কিন্তু পরে তামিম জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তাকে নিয়েও কথা বলেন লিপু।
তিনি বলেন, ‘তামিমের মতো একজনকে পেলে দল অনেক উপকৃত হতেন। তিনি ভালো ছন্দে ছিলেন। আমরা তাকে মিস করলাম। আমাদের আশা ছিল, হয়তো এই টুর্নামেন্ট খেলবেন। তবে এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট তাকে মিস করবে। তিনি দলে থাকলে দল উপকৃত হতো। টপ অর্ডার উপকৃত হতো। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
এমএইচবি/এএইচএস