কিছুদিন আগেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অবসরের কথা জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এবার অবসরের কথা শোনা যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোন প্রক্রিয়ায় বিদায় নিলে ভালো হয়, সেটা নিয়ে ভাবছেন তিনি। কারণ তার বিদায় মানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চিরতরে ‘বিদায়’ বলে দেওয়া। তাই বিসিবিও চায় মাহমুদউল্লাহর বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে। তাকে মাঠ থেকে বিদায় দেওয়ার পরিকল্পনা ক্রিকেট বোর্ডেরও।
ইনজুরির কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে না পারলেও মোহামেডানের ম্যাচের দিন মাঠে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। বৃহস্পতিবার যেমন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে ফাহিমের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও কথোপকথনের কোনো কিছুই প্রকাশ করতে রাজি হননি ফাহিম।
অবসর ইস্যুতে মাহমুদউল্লাহ কী বলেছেন– এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিসিবির এ পরিচালক বলেন, ‘যখন ঘটনা ঘটবে, তখন জানতে পারবেন। এখন কোনো কিছু বলা যাবে না। ’
বিসিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ও টি২০ মাঠ থেকে ছেড়েছেন। ওয়ানডে ছাড়ার অর্থ হলো জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলতে হবে, তাই ঘটা করে বিদায় দিতে চায় বোর্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলা হতে পারে তাঁর। ’ যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে কিনা, জানা নেই। এ বছর দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ খেলে বিদায় নিতে চাইলে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে। পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কা সফরেও ক্যারিয়ার শেষ করতে পারেন তিনি। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা বলবেন তিনি।
২০২৩ বিশ্বকাপেই মূলত নিজের সামর্থ্যের শেষ প্রদর্শনী করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুম্বাইয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও উপহার দেন। এরপর আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ভালো খেলেও জায়গা ধরে রাখা কঠিন হয়ে ওঠে। বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় যে তিনি নেই, সেটাও স্পষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৫
এআর