বল হাতে দারুণ ধারাবাহিক হলেও ব্যাটিংয়ে সুযোগ তেমন একটা পান না মেহেদী হাসান মিরাজ। কারণ, সাধারণত তিনি নামেন সাত বা তারও নিচে।
তবে সুযোগ পেলেই নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে থাকেন মিরাজ। ঠিক যেমনটি করলেন চট্টগ্রাম টেস্টে। ব্যাটিং ধসের সময় মাঠে নেমে অপ্রতিরোধ্য এক ইনিংস খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। আর এই অসাধারণ ইনিংসের পেছনে টেলএন্ডার সতীর্থদের অবদান ভুলে যাননি ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
চট্টগ্রাম টেস্টে যখন একের পর এক উইকেট পড়ে যাচ্ছিল, তখন লেজের দিকের ব্যাটারদের সঙ্গে গড়ে তোলেন গুরুত্বপূর্ণ জুটি। অষ্টম উইকেটে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে করেন ৬৩ রান। এরপর তানজিম সাকিবের সঙ্গে নবম উইকেটে যোগ করেন ৯৬। তানজিম খেলেন ৪১ রানের মূল্যবান ইনিংস।
শেষ ব্যাটার হিসেবে মাঠে আসেন হাসান মাহমুদ। তিনি রান না করলেও খেলেন ১৬টি বল—যা মিরাজকে ৯৮ থেকে ১০৪ রানে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা রাখে।
সেঞ্চুরি ও পরে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া মিরাজ ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সতীর্থদের প্রতি। তিনি বলেন, “ক্রেডিটটা বোলারদের। তাইজুল, তানজিম, হাসান—তারা সবাই আমাকে সাপোর্ট করেছে। নাহলে সেঞ্চুরিটা হয়তো হতো না। ”
মিরাজ শুধু ম্যাচসেরা নয়, সিরিজজুড়ে ১১৬ রান ও ১৫ উইকেটের পারফরম্যান্সে হয়েছেন সিরিজসেরাও। বল হাতে যেমন ধারালো, ব্যাট হাতেও সেই দিনে হয়ে উঠেছিলেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়।
মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই চট্টগ্রাম টেস্টেের তৃতীয় দিনে ইনিংস ও ১০৬ রানের বড় জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরির পর মিরাজের ১৬২ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ তোলে ৪৪৪ রান। তাতে প্রথম ইনিংসেই এগিয়ে যায় ২১৭ রানে। এরপর স্পিন-ত্রাসে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১১ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে থামে ২২৭ রানে।
এমএইচএম