চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) হারের পর ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনায় দাঁড়িয়ে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি একটি কথাই বললেন—“দোষটা আমারই। ” দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ, ঠাণ্ডা মাথার এই অধিনায়ক শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫ রান নিতে পারেননি, এবং সেখানেই হেরে যায় চেন্নাই।
ম্যাচের হিসাবটা এমন—রান তাড়ায় নেমে ২১ বল বাকি থাকতে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৪২ রান। ঠিক তখন ব্যাট হাতে মাঠে নামেন ধোনি। তখনই উইকেটে থাকা রবীন্দ্র জাদেজা দারুণ ছন্দে ছিলেন—৩৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত। মাঠে শিশির পড়ছিল, বল ব্যাটে ভালো আসছিল, এবং তখন পর্যন্ত ম্যাচে উঠেছে ২২টি ছক্কা—সব মিলিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য এক আদর্শ পরিস্থিতি।
কিন্তু ১৮তম ওভারে সুয়াশ শর্মার লেগ স্পিনে আটকে যায় চেন্নাই। ধোনি ও জাদেজা মিলে ওই ওভারে নিতে পারেন মাত্র ৬ রান। ধোনি পরের ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে ছক্কা মারলেও, শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৫ রান নিতে গিয়ে ফেরেন যশ দয়ালের বলে। আগের বছরও একই মাঠে একই বোলারের কাছেই পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস যেন নিজেকে পুনরাবৃত্তি করল।
“আমি দোষ নিচ্ছি”— ধোনির সরল স্বীকারোক্তি
ম্যাচ শেষে রবি শাস্ত্রী যখন জানতে চাইলেন, কোথায় পিছিয়ে পড়ল চেন্নাই? তখন ধোনি সোজাসাপ্টা বলেন, “আমি যখন ব্যাটিংয়ে গেলাম, তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হয়েছিল আরও দু-একটা শট ভালোভাবে নিলে চাপ কমে যেত। আমি সেই সুযোগ নিতে পারিনি। কাজেই, দোষটা আমারই। ”
বোলিং ব্যর্থতা ও শেফার্ডের তাণ্ডব
এই হারের আরেকটি বড় কারণ ছিল শেষদিকে চেন্নাইয়ের বোলিং ব্যর্থতা। যেখানে রোমারিও শেফার্ড মাত্র ১৪ বলে ৫৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ধোনি বলেন, “ওরা খুব ভালো শুরু করেছিল। মাঝখানে আমরা ম্যাচে ফিরে এসেছিলাম। কিন্তু শেষদিকে রোমারিও যা করল, তাতে আমাদের বোলাররা কিছুই করতে পারেনি। ”
ডেথ ওভারের জন্য দরকার ‘ইয়র্কার’
ধোনি জানালেন, ডেথ ওভারে ইয়র্কারের ওপর আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে দলকে। তার ভাষায়, “যখন ব্যাটসম্যান ছন্দে থাকে, তখন তাকে থামাতে ইয়র্কারই সবচেয়ে কার্যকর। কিন্তু সেটা মিস হলে লো ফুলটস অন্তত একটা বিকল্প হতে পারে, যেটা মারা কঠিন। আমাদের বোলারদের এটা আরও ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। ”
তিনি পাথিরানার কথাও উল্লেখ করেন, “পাথিরানা যদি ইয়র্কার মিস করে, তাহলেও তার স্পিড আছে, বাউন্সার দিতে পারে। তাতে ব্যাটসম্যান দোটানায় পড়ে। কারণ ব্যাটসম্যান ইয়র্কারের জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু ওটা না হলে ওরা সহজেই বলটা পাঠিয়ে দিতে পারে। ”
এমএইচএম