বিসিবি সভাপতি হিসেবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন ফারুক আহমেদ। বুধবার রাতে সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানতে পারেন—সরকার আর তাকে এই পদে দেখতে চায় না।
ফারুক নিজেই জানালেন, “স্বাভাবিকভাবেই আমার প্রশ্ন ছিল—কেন আমাকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে সরকার? ক্রীড়া উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাকে নাকি সরকারের ওপরমহল আর পছন্দ করছে না। এখন ওপরমহল মানে কারা, সেটা আপনারাই বুঝে নিন। ”
এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন ফারুক আহমেদ। তার মতে, যদি সত্যিই তার ব্যর্থতা থাকত, তাহলে সেটি জানানো হতো। “আমাকে আমার ব্যর্থতার কথা বলা হলে বুঝতাম কোথায় ভুল করেছি। কিন্তু কিছুই তো বলা হয়নি। শুধু বলা হচ্ছে, ওপরমহল আমাকে চায় না। তাহলে আমি কেন পদত্যাগ করব?”—বলেন ফারুক।
তার বক্তব্যে উঠে এসেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত—বিসিবির ভেতরে চলছে ষড়যন্ত্র। বিশেষ করে বোর্ডে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপের পর থেকে কিছু পরিচালকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি, “তৃতীয় বিভাগের বাছাই ক্রিকেটে অনিয়মের তদন্তে বোর্ড পরিচালকদের একাংশের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হয়েছে। বিপিএলে টিকিট বিক্রির নতুন পদ্ধতি চালু করে অনেক অপচয় রোধ করেছি। অথচ একজন পরিচালক আগের দুর্নীতিপূর্ণ পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। আমি সেটি হতে দেইনি। এরাই এখন ষড়যন্ত্র করছে। ”
পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্তের কারণে সরকার ও বোর্ডের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নে ফারুক বলেন, “এই প্রশ্নের উত্তর আমি কয়েক দিন পর দেব। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি তো এই পদ চাইনি, কারো দরজায়ও যাইনি। আমাকে ডেকে এনে সভাপতি করা হয়েছিল। এখন সরাতে হলে সুনির্দিষ্ট কারণও বলা উচিত। ”
পদত্যাগ করবেন না ফারুক
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে ফারুক বলেছেন, ‘(ক্রীড়া) উপদেষ্টা আমাকে পদত্যাগ করতে বলেনি। তবে বলেছে তারা চায় না আমি আর কন্টিনিউ করি। কিন্তু আমি পদত্যাগ করছি না। যেহেতু আমি নির্বাচিত একজন বোর্ড সভাপতি।
এমএইচএম