ঢাকা, রবিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ক্রিকেট

বাংলাদেশি আম্পায়ারদের জন্য স্বচ্ছ ও যোগ্যতাভিত্তিক ব্যবস্থা গড়তে চান টফেল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৯, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
বাংলাদেশি আম্পায়ারদের জন্য স্বচ্ছ ও যোগ্যতাভিত্তিক ব্যবস্থা গড়তে চান টফেল সাইমন টফেল/সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ারদের শিক্ষা বিভাগের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক আইসিসি এলিট প্যানেল আম্পায়ার সাইমন টফেল।  

গতকাল (শনিবার) সকালে ভারত থেকে ঢাকায় পৌঁছে মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে যোগ দেন তিনি।

দুই বছরের চুক্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন এই অস্ট্রেলিয়ান। তার কাজ শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) আসন্ন টি-টোয়েন্টি আসর দিয়ে, যা ১৪ সেপ্টেম্বর তিনটি ভেন্যুতে শুরু হচ্ছে।

টফেল উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরে আমি এখানে আছি সাহায্য করতে, একটি ভালো পরিবেশ গড়ে তুলতে যাতে আম্পায়ার ও রেফারিরা নিজেদের প্রতিভা বিকশিত করতে পারে। দেশীয় ক্রিকেটের মান বাড়াতে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেরা হওয়ার জন্য যা দরকার, সেই কাঠামো গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। ’

তিনি জানান, এর জন্য প্রতিভা চিহ্নিত করা, ন্যূনতম মান নির্ধারণ করা, স্বচ্ছ ও যোগ্যতাভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন, ‘এভাবে সঠিক আম্পায়ার ও রেফারিরা সামনে এগোতে পারবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখবে। ’

টফেল ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এটি সময়সাপেক্ষ কাজ। ভারত দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে, যার ফল এখন পাচ্ছে। রাতারাতি সাফল্য আসে না। এটি দীর্ঘ যাত্রা। ’

তিনি উদাহরণ টানেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের, যিনি বর্তমানে আইসিসি এলিট প্যানেলে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ার। টফেল বলেন, ‘সৈকত দৃঢ়তা, অধ্যবসায় আর মানসিক শক্তির বড় উদাহরণ। তিনি শুধু রোল মডেল নন, বরং অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। আমরা চাই পুরুষ-নারী উভয়ের জন্যই আরও সুযোগ তৈরি হোক। আশা করছি সৈকত শেষ নাম হবেন না। ’

সাইমন টফেলের ক্যারিয়ার গৌরবময়—৭৪ টেস্ট, ১৭৪ ওয়ানডে ও ৩৪টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করেছেন তিনি। এছাড়া একাধিক বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

সৈকত টফেলকে বিসিবি সেটআপে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার ওয়ানডে অভিষেকের প্রথম দুই ম্যাচে তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি শুধু আম্পায়ার নন, বরং বহু বছর ধরে আম্পায়ারদের শিক্ষার কাজে নিয়োজিত। আশা করি, তার যোগদান বাংলাদেশের আম্পায়ারিংয়ে আরও উন্নতি বয়ে আনবে। এখানে মানসিকতা বদলানো জরুরি। আম্পায়ারদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। কাঠামো ও শিক্ষা ঠিকমতো হলে ভবিষ্যতে আরও এলিট প্যানেল আম্পায়ার আসবে। ’

এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।