নেপিয়ার: ৩৫ বলে ৯৫ রান, পরের বলে কমপক্ষে পাঁচ রান করলে ১৭ বছরের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে পারবেন। এটা তখনও জানতেন না কোরি এন্ডারসন।
নাইরোবিতে ১১ ছয় ও ৬ চারে ৩৭ বলে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। এক বল কম সময় নিয়ে এই রেকর্ড ভাঙতে এন্ডারসন হাঁকিয়েছেন ১৪ ছয় ও ছয় চার। বৃষ্টিতে ম্যাচ ২১ ওভারে কমিয়ে আনার পর ৪৭ বলে ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে খেলা হলে কী যে হতো সেটাই ভাবাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের।
কিন্তু এন্ডারসন এসব রেকর্ড নিয়ে ভাবেননি, দলের সংগ্রহ কীভাবে বাড়ানো যায় সেটাতেই লক্ষ্য ছিল,‘না, সত্যিই আমি বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম হয়তো দ্রুত সেঞ্চুরি হয়েছে, কিন্তু এটা যে সবচেয়ে দ্রুততম সেটা বুঝিনি। ’
নতুন দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আফ্রিদি শুনবেন তার রেকর্ড ভেঙে গেছে, তখন তার কী অবস্থা হবে এমন জানতে চাইলে মজা করলেন এন্ডারসন,‘সম্ভবত উনি আবার চেষ্টা করে এই রেকর্ডও ভাঙবেন। এটা প্রশংসনীয় হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে, দল জিতেছে সেটাও দারুণ। ’
অষ্টম ওভারে মাঠে নেমেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে কীর্তিটি গড়লেন। কিন্তু এতটুকুও চাপে ভোগেননি ২৩ বছর বয়সী,‘আমার ভাবনায় সেঞ্চুরি ছিল না। চিন্তা করছিলাম কত দ্রুত আরও বেশি রান করা যায়। শতকের কথা ভাবার সময় ছিল না। ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের চেয়ে দল নিয়েই ভাবতে হবে আপনাকে। এজন্য চেষ্টা করতে হবে দলের স্কোরবোর্ডে কত বেশি রান করা যায় সেটা। ’
আগামী মাসের আইপিএল নিলামেও সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত হয়ে গেলেন এন্ডারসন। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবে এগুলোকে কানকথা বললেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার,‘এসব কথা ভেসে বেড়ায়। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যে অবস্থায় আছি আমি তাতে খুশি। দলে জায়গা পোক্ত করতেই এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছি আমি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ১ জানুয়ারি ২০১৪
সম্পাদনা: ফাহিম হোসেন মাজনুন, নিউজরুম এডিটর