ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সিলেটের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিয়ন ল্যানিং

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৪
সিলেটের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিয়ন ল্যানিং ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট থেকে: সিলেটের বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১৪ ম্যাচের লড়াই শেষে খুঁজে পাওয়া গেল প্রথম সেঞ্চুরিয়নকে। নতুন এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে কোনো ছেলে নয়, মেয়ে গড়লেন প্রথম সেঞ্চুরি।

পুণ্যভূমির এই বিভাগীয় স্টেডিয়াম তাই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের স্মৃতির মণিকোঠায় চিরদিনই থেকে যাবে।

কারণ প্রথম সেঞ্চুরিসহ বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি রেকর্ডের অংশীদার হয়ে গেলেন তিনি। আর অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের সৌজন্যে স্টেডিয়ামে আসা হাজারখানেক দর্শকও আনন্দের খোরাক পেল।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রথম অস্ট্রেলীয় মেয়ে হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া ল্যানিং বলেন,‘আমি খুব উপভোগ করে খেলেছি। কন্ডিশন দারুণ ছিল, আউটফিল্ড ছিল অনেক দ্রুতগতির। আমার মতো করে খেলেছি। ’

প্রথম দুই ম্যাচে রক্ষণাত্মক খেলেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৬ রান এসেছিল তার ব্যাটে। নেতৃত্বের বোঝায় এমন পারফরমেন্স সেটা মানতে নারাজ ল্যানিং,‘না আমার মনে হয় না নেতৃত্বের প্রভাব পড়েছে আমার ব্যাটিংয়ে। দায়িত্বের কোনো বোঝা আমার উপর পড়েনি বলেই মনে করি আমি। ’

বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়লেও ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পেরেই খুশি ল্যানিং,‘আমি চেষ্টা করেছি দলকে যতখানি সম্ভব বড় সংগ্রহ এনে দিতে। ওই প্রচেষ্টাতেই সেঞ্চুরিও হয়ে গেল। ’

গত দুই ম্যাচের পারফরমেন্সে হতাশ ছিলেন টি-টোয়েন্টির সেরা পারফর্মার বনে যাওয়া এই ২২ বছর বয়সী,‘আমি হতাশ ছিলাম। সবসময় চেয়েছিলাম উইকেটে এসে টিকে থাকতে। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে সেটা হয়নি। ’

সবশেষে সিলেটের গ্রাউন্ডে প্রথম সেঞ্চুরিয়ন হতে পারায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর দর্শকদের সমর্থনের প্রশংসা করলেন ল্যানিং। আশা করছেন পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই এমন দর্শক থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।