ঢাকা: দেশী কোচের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নানা জনের নাম উঠছে ক্রিকেট পাড়ায়।
গুঞ্জন উঠলেও এমনটা সত্য নয় জানালেন আমিনুল,‘বাংলাদেশ দলের কোচিংয়ের ব্যাপারে বিসিবি’র কাছ থেকে এখনও কোনো প্রস্তাব পাইনি। যদি প্রস্তাব পাই তখন চিন্তা করে দেখব। আগে প্রস্তাব আসুক। ’
কোচের চলে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি আরো যোগ করেন,‘কোচ দল থেকে যে ফলাফল আশা করেছিলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী তা না হওয়ার কারণে চলে যেতে পারেন। সাংগঠনিক ব্যর্থতা, বোর্ডের সঙ্গে কোচের চুক্তির সমস্যার কারণেও হতে পারে। তবে এটা একটা চিন্তার ব্যাপার কেন কোচরা তার শতভাগ দিতে পারছেন না? এ ব্যাপারগুলো নিয়ে একটু ভাবা উচিত। ’
পারফরমেন্সের অতীত ও বর্তমান কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘যদি পারফরমেন্স ও পরিসংখ্যান দেখেন, বিশ্লেষন করেন তাহলে দেখবেন বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিকতা নেই। এটা একটা কারণ হতে পারে। আরেকটা কারণ হতে পারে প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা খেলতে পারছি না। সত্যিকথা হলো আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে আমরা কোথায় আছি, সেই একটা বিরাট ব্যাপার। আমাদের ছোটখাটো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা উচিত। ’
দেশী কোচদে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আমিনুল বলেন,‘ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য তৃতীয় লেভেলের যে পড়াশোনা আছে তা আমাদের দেশের আট-দশজন করেছেন। আমার মনে হয় দেশীয় কোচদের সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা যদি তাদেরকে সুযোগ না দেই তাহলে কিভাবে বলব তারা পরিপূর্ণ হতে পারছেন কি না। পনেরো বছর পরেও কী আমরা বলবো আমাদের দেশে মান সম্পন্ন কোনো কোচ নেই। তাহলে আমরা কী এই জায়গাটাতে কাজ করিনি। এই বিষয়টা ভেবে দেখা উচিত। ’
সবদিক থেকে পরিপক্ব এমন কোচকে দরকার মনে করেন সাবেক অধিনায়ক,‘আমার মনে দেশীয় কোচদের মধ্যে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার জন্য অনেকেই প্রস্তুত আছেন। কোচিংটা শুধু খেলা শেখানোই না। এখানে খেলোয়াড় সিলেকশনেরও ব্যাপার থাকে। খেলোয়াড় উন্নয়নের ক্ষেত্র থাকে। আসলে কোচতো একজন শিক্ষক, একজন পিতা এবং কোচ, একজন ম্যানেজার। তার এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা উচিত, তিনি সকলের কাছে সম্মানিত হবেন। সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ১৩ মে ২০১৪