ঢাকা: শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় অবশেষে জয়ের দেখা পেল ইংল্যান্ড। সাত ম্যাচের ওডিআই সিরিজের তৃতীয়টিতে জো রুট ও জস বাটলারের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে শ্রীলঙ্কাকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে ইংলিশরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। কিন্তু খেলা শুরুর কিছুক্ষন পর বৃষ্টি হানা দেয়। ফলে বেশকিছুক্ষন খেলা বন্ধ থাকে। এরপর নির্ধারিত ওভার থেকে ১৫ ওভার কমিয়ে দুদলের জন্য ৩৫ ওভার নির্ধারণ করা হয়। ৩৫ ওভার শেষে আট উইকেটে ২৪২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
পরে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য ২৩৬ রান টার্গেট দাড়ায়। আর ব্যাটিংয়ে নেমে দারুন শুরু এনে দেন দুই ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও মঈন আলী। তারা দুজনে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর ব্যক্তিগত ৩৪ রান করে ধাম্মিকা প্রসাদের বলে প্যাভিলিওনে ফেরেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক কুক। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন অ্যালেক্স হেলস।
এদিন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মঈন। মাত্র ২৯ বল খেলে চার ছয় ও দুই চারের সাহায্যে তিনি অর্ধশত পুর্ণ করেন। কিন্তু দলীয় ১০৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৮ রান করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের ফাঁদে পরে উইকেট বিদায় মঈন।
এরপরই ইংল্যান্ড ইনিংসের হাল ধরেন জো রুট ও জস বাটলার। এর আগে ২৭ রান করে আউট হয়ে যান হেলস। হেলসের বিদায়ের পর রবি বোপারা ও এউইন মরগান দুজনের কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। কিন্তু রুট ও বাটলারের অপরাজিত ৮৪ রানের পার্টনারশিপে ভর করে আট বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। রুট ব্যক্তিগত ৪৮ ও বাটলার ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলঙ্কান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট লাভ করেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন প্রসাদ ও রঙ্গনা হেরাথ।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ছয় রানের মাথায় রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন ওপেনার কুশাল পেরেরা। এরপর ব্যক্তিগত ২৩ রান করে তিলেকারাত্নে দিলশান প্যাভিলিওনে ফিরে গেলে চাপে পরে যায় স্বাগতিকরা। তবে অপর প্রান্তে উইকেট আগলে রাখেন কুমার সাঙ্গাকারা।
সাঙ্গাকারা এদিন ক্যারিয়ারের ৮৯তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। সেই সঙ্গে তের হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন। এছাড়াও এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল করে অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট অ্যাডাম গিলক্রিস্টের রেকর্ড ভাঙ্গেন। এরআগে গিলক্রিস্ট ২২৭ ম্যাচে ৪৭২টি ডিসমিসাল করেছিলেন। আর এদিন সাঙ্গাকারা ৩৮৬ ম্যাচে ৪৭৪টি ডিসমিসাল করে এই রেকর্ডের মালিক হন।
এদিকে সাঙ্গাকার ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে তিনি আউট হয়ে যান। আউট হওয়ার আগে তিনি ম্যাথিউসের সঙ্গে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে লঙ্কান ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে লাহিরু থিরিমান্নের ব্যাট থেকে। তিনি ব্যক্তিগত ৬২ রান করে ক্রিজে অপরাজিত থাকেন।
ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন ক্রিস ওকস। এছাড়াও ক্রিস জর্ডান পান দুটি উইকেট।
আগামী সাত ডিসেম্বর কলম্বোতে দুদলের মধ্যকার চতুর্থ ওডিআই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘন্টা, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪