ঢাকা: ভারতের সুপ্রীম কোর্টে গতকাল ২০১৩ আইপিএল এর দুর্নীতি মামলার শুনানি হয়েছে। শুনানিতে স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত ক্লাব চেন্নাই সুপার কিংসের(সিএসকে) মালিক এন শ্রীনিবাসনকে বলা হয়েছে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে হলে সিএসকের মালিকানা ছেড়ে দিতে হবে।
আগামী ১৭ই ডিসেম্বর বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শ্রীনিবাসন এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়ার কথা রয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন শ্রীনিবাসন। কিন্তু এ বছরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাকে এ পদ থেকে অপসারণ করা হয়। শ্রীনিবাসন বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের(আইসিসি) চেয়ারম্যানের পদে আছেন।
এদিকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক টিএস ঠাকুর ও এফএম কালিফুল্লাহ পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, শ্রীনিবাসনকে যেকোন একটি পদ বেছে নিতে হবে। একসাথে দুটি পদে তিনি থাকতে পারবেন না।
দুই বিচারক শ্রীনিবাসনকে শুনানিতে বলেন, ‘আপনি যদি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে চান তাহলে চেন্নাই সুপার কিংসে আপনার বিনিয়োগ করা অর্থ বিপন্ন হবে। আর যদি আপনি নির্বাচনে অংশ না নেন তাহলে আপনার বিনিয়োগ করা অর্থ নিরাপদে থাকবে। আপনাকে যেকোন একটি বেছে নিতে হবে।
এর আগে ২০১৩ সালের আইপিএল চলাকালীন সময়ে শ্রীনিবাসনের মেয়ের জামাতা গুরুনাথ মিয়াপ্পনের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর দায়ে অভিযোগ উঠে। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গত বছরের ২৪ মে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তাকে সিএসকের সব ধরনের পদ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
এর পরেই তোপের মুখে পড়েন তখনকার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন। পরে স্পট ফিক্সিংয়ের স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শ্রীনিবাসনকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘন্টা, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪