ঢাকা: দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল ২০১৪। বছরের শেষ দিন আজ।
চলুন পাঠক ফিরে দেখা যাক সালমা, রুমানা, শুকতারা এবং জাহানারাদের এ বছরের অর্জনগুলোর দিকে।
দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর দিয়ে বছরটা শুরু করেছিল বাংলাদেশের নারীরা। ২০১১ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশের নারীদের জন্যে এটি ছিল প্রথম কোন বিশ্ব আসরে খেলার প্রথম অভিজ্ঞতা।
হতশ করেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। মার্চে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় তারা শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সবাইকে। এছাড়াও কয়েকটি খেলায় জয়ের কাছাকাছি যাওয়ার পরও হেরে গেলে ক্রিকেট মহলে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল।
২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসের মতো এ বছরও কোরিয়ার ইনচন এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট ইভেন্টে রৌপ্য পদক জয় করে বাংলাদেশের নারীরা।
২৬ সেপ্টেম্বর ইনচনে পাকিস্তানের মেয়েদের কাছে ইভেন্ট ফাইনালে চার রানে হেরে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। সে ম্যাচেও এক সময় মনে হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা জয়ের পথেই ছিল।
সীমিত সুযোগ সুবিধা নিয়েও বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল দেশের জন্যে সম্মান বয়ে আনছে। মেয়েদের পারফরমেন্স বিসিবির কর্তাদেরও উৎসাহিত করেছে। ইতিমধ্যে মেয়েদের প্রথম বিভাগ এবং প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের আয়োজন করেছে বিসিবি।
মেয়েদের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে আরো উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিবি। বিসিবির উইমেন উইং এর চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল ভুলু বাংলানিউজকে জানান, ‘মেয়েদের পারফরমেন্স ছিল অসাধারণ। সামনের বছর আমরা ব্যাকআপ ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের ‘এ’ দল তৈরী করব, মেয়েদের ক্রিকেট আরো এগিয়ে যাবে। ’
নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমা খাতুনও খুশি তার দলের মেয়েদের গেল বছরের পারফরমেন্সে। সালমা বাংলানিউজকে জানান, ‘মেয়েরা মাঠে ভালো করছে। বোর্ড থেকেও আমরা সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া শুরু করেছি, আমাদের ক্রিকেট সামনে আরো ভাল করবে। ’
বিসিবি নারী ক্রিকেটের প্রসারে ইতোমধ্যে ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামোর আওতায় এনেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪