সাতক্ষীরা: জাতীয় দলের খেলোয়াড় আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জিয়াউর রহমান ও অনুর্দ্ধ-১৯ জাতীয় দলের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় পেয়েছে মুনসিপাড়া যুব সংঘ।
সোমবার সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত চায়না-বাংলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১৫ এর প্রথম সেমি ফাইনালে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী এরিয়ান্স ক্লাবকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে দলটি।
সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন এরিয়ান্স ক্লাবের অধিনায়ক বিপিএল-এ খুলনার হয়ে খেলা অলরাউন্ডার তাপস ঘোষ। কিন্তু প্রতিপক্ষ মুনসিপাড়া যুব সংঘের হয়ে খেলা জাতীয় দলের অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে দলীয় ১০ রানেই সাজঘরে ফেরেন এরিয়ান্সের ওপেনার মিজান।
এরপর তিন নম্বরে নামা সিয়াম জিয়াউরের বলে ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরায় চাপে পড়ে যায় এরিয়ান্স ক্লাব। দলীয় ২২ রানে অনুর্দ্ধ-১৯ জাতীয় দলের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন এরিয়ান্সের আরেক ওপেনার সৈকত।
দলীয় ৪৩ রানে এরিয়ান্সের অধিনায়ক তাপস ঘোষ রান আউট হয়ে ও আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রাতুল দলীয় ৬৭ রানে সাজঘরে ফেরার পর আর তেমন কেউ দাঁড়াতেই পারেননি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩২.৪ ওভারে এরিয়ান্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯৫ রান। দলের পক্ষে রাতুল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ৮ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২টি, জিয়াউর রহমান ৭ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২টি, আব্দুর রাজ্জাক রাজ ৭ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২টি ও বিশ্বনাথ হাওলাদার ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট লাভ করেন।
৯৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুনসিপাড়া যুব সংঘ ২০.১ ওভারে মাত্র ২টি উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। তবে, মুনসিপাড়ার হয়ে খেলা ভিক্টোরিয়ার ওপেনার অমিত মজুমদার ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ও জাতীয় দলের হয়ে খেলা জহুরুল ইসলাম অমি ব্যক্তিগত ২২ রানে মুরাদের বলে সাজঘরে ফেরেন। অপরাজিত ছিলেন জাতীয় দলের আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি ও মিথুন আলী।
প্রথম সেমি ফাইনালের ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন মুনসিপাড়ার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ১২ জানুয়ারি ২০১৫