ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ আশ্বিন ১৪৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ক্রিকেট

শিরোপা জিতলো জিয়া, জুবায়ের, শুভর মুনসিপাড়া

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৩, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫
শিরোপা জিতলো জিয়া, জুবায়ের, শুভর মুনসিপাড়া ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাতক্ষীরা: জাতীয় দলের খেলোয়াড় জুবায়ের হোসেন লিখনের দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে চায়না বাংলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১৫ এর শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে মুনসিপাড়া যুব সংঘ।

শুক্রবার সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে গণমুখি সংঘকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি।



সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গণমুখি সংঘ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ভাল করলেও দলীয় ২৭ রানে জাতীয় দলের পেসার রবিউল ইসলাম শিবলুর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন গণমুখি সংঘের ওপেনার আদনান।

এরপর নতুন ব্যাটসম্যান রনিকে নিয়ে দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করলেও দলীয় ৬২ রানে আরেক ওপেনার আশিক সাজঘরে ফেরেন। এরপর জাতীয় দলের খেলোয়াড় জুবায়ের হোসেন লিখনের দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে গণমুখি সংঘের। তবে, রায়হানের অপরাজিত ৫৮ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করে গণমুখি সংঘ।

মুনসিপাড়ার হয়ে জুবায়ের হোসেন ৯ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৫টি ও রবিউল ইসলাম ৯ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট লাভ করেন।

২০১ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৭ রানে মুনসিপাড়ার ওপেনার রনি তালুকদার সাজঘরে ফেরেন। এরপর দলীয় কোনো রান যোগ না হতেই নতুন ব্যাটসম্যান জাতীয় দলের খেলোয়াড় শুভাগত হোম ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে যায় মুনসিপাড়া যুব সংঘ।

এ পর্যায়ে আরেক ওপেনার ভিক্টোরিয়ার খেলোয়াড় অমিত মজুমদারের সাথে দলের হাল ধরেন জাতীয় দলের হয়ে খেলা মিডল অর্ডার মিঠুন আলী। মিঠুন আলী ব্যক্তিগত ৭৮ রানে সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিং ক্রিজে এসেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন নতুন ব্যাটসম্যান সোহান।

তবে, শেষ পর্যন্ত অমিত মজুমদারের দৃঢ়তায় ৪২.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুনসিপাড়া। অমিত মুজমদার ব্যক্তিগত ৭৮ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ত্যাগ করেন।

প্রতিপক্ষের নির্জন ভদ্র ৮ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ২টি ও ইনামুল ৯ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট লাভ করেন।

ম্যাচ সেরা হন জুবায়ের হোসেন লিখন। ম্যান অব দ্য সিরিজ হন ভিক্টোরিয়ার ওপেনার অমিত মজুমদার। টুর্নামেন্টের সেরা বোলারের পুরস্কার পান গণমুখি সংঘের নির্জন ভদ্র এবং ব্যাটিং সেরা হন এরিয়ান্স ক্লাবের রাতুল।

খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মধ্যে ট্রফি প্রদান করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র এমএ জলিল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ, চায়না বাংলা গ্রুপের এমডি আনিসুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।