ঢাকা: আমরা মানব জীবনে সব সময় ভারসাম্যের কথা চিন্তা করি। তবে কোন একটি দিক যদি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে তাহলে সে ব্যাপারেই প্রশ্ন ওঠে।
১৮ জানুয়ারি ২০১৫ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি ম্যাচ ব্যাটে-বলে দারূণ প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে শেষ হয়েছে। আর আরেকটি ম্যাচে মনে হয়ে ম্যাচটি শুধুমাত্র ব্যাটসম্যানদের জন্য।
গতকাল যারা খেলাগুলো দেখেছেন তারা অনুভব করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে যেমনি ব্যাটসম্যানদের ণৈপুন্য ছিল তেমনি বোলারদেরও ছিল আধিপত্য। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া চার উইকেটের জয় পায়।
আর অন্য ম্যাচে জোহার্নেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের কাঁদিয়ে রানের ফোয়ারা তুলেছেন দক্ষিন আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। প্রোটিয়ারা এদিন তাদের দলীয় রেকর্ড দুই উইকেট হারিয়ে ৪৩৯ রান করেন। ম্যাচে উদ্ভোধনী ব্যাটিংয়ে নামা হাশিম আমলা (১৫৩) ও রিলে রশো (১২৮) দুজনের ব্যাট থেকেই আসে সেঞ্চুরি।
তবে এ ম্যাচে সবচেয়ে বড় ফোকাস ছিল স্বাগতিক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের দিকে। তিনি যে এদিন সব কিছু লন্ড-ভন্ড করে দেন। প্রথমে গড়েন ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এরপর গড়েন ৩১ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড। সর্বশেষ ৪৪ বলে ১৪৯ রানের একটি মাইলফলক ইনিংস খেলে আউট হন এ ডান হাতি। পাশাপাশি এক ইনিংসে ১৬ ছক্কা মারার রেকর্ডও এখন তার দখলে।
এক বছর আগে ৩৬ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের কোরে অ্যান্ডারসন। তারও ১৭ বছর আগে কেনিয়ার নাইরোবিতে ৩৭ বলে এ রেকর্ডের মালিক ছিলেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির দখলে।
এছাড়া এতদিন ১৭ বলে একদিনের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন শ্রীলঙ্কান সনাথ জয়সুরিয়া।
এদিকে গত বছর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাই ২৬৪ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলেছিলেন ভারতের রোহিত শর্মা। এর আগে ভিরেন্দর শেওয়াগ ২১৯ ও শচীন টেন্ডুলকার করেছিলেন ২০০। তবে ১৯৪ রান করে দীর্ঘদিন এ রেকর্ডের মালিক ছিলেন পাকিস্তানের সাইদ আনোয়ার।
তাই এখন র্নিধিধায় বলা যায় ক্রিকেট এখন অনেকটা এক পেশে হয়ে গেছে। যার পাল্লা ভারি হয়েছে ব্যাটসম্যানদের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫