ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাত্তা পেল না লংকানরা

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
পাত্তা পেল না লংকানরা ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: কথায় আছে সকালের সূর্য উঠলে বোঝা যায় কেমন যাবে দিনটি। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের  নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার প্রথম খেলায় সেই প্রবাদ বাক্যটি খাটলো না।

  ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে বৃষ্টির আশঙ্কায় খেলা পণ্ড হওয়ায় সম্ভাবনা থাকলেও সেই শঙ্কা পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি।
 
বিশ্বকাপ উদ্বোধনী ম্যাচে  শ্রীলঙ্কাকে  ৯৮ রানে হারিয়ে দাপুটে সূচনা করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। টসে হেরে আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ৩৩১ রান করে নিউজিল্যান্ড। ৩৩২ রান তাড়া করতে নেমে ২৩৩ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

কিউই ওপেনারদের দাপুটে সূচনা
মেঘলা কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে নিউজিল্যান্ডকে বিপদেই ফেলতে চেয়েছিলেন  শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুজ। কিন্তু নুয়ান কুলাসেকারার প্রথম ওভারের শেষ বলটি কাভারের উপর দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাট হাতে রাজত্ব করবেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানেরা।
ওপেনিং পার্টনারশিপেই লঙ্কনা বোলরাদের মনোবল ভেঙে দেন দুই কিউই ওপেনার। মার্টিন গাপটিল এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ১৬ ওভারে ১১১ রান তুলে বুঝিয়ে দেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বিশাল স্কোরেই দেখতে যাচ্ছে দর্শক। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।
 
লঙ্কানদের সামনে ৩৩২ রানের টার্গেটই দিয়েছে  নিউজিল্যান্ড।   ১১১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর ম্যাককালামা, গাপটিলের উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল রেখেছিল কিউই ব্যাটসম্যানেরা। দলীয় ১৩৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পরও কেন উইলিয়ামস এবং রস টেইলর  ৬৭ বলে ৫৭ রানের  পার্টরশিপটি কিউইদের রানের চাকা সচল রেখেছিল
 
জীবন মেন্ডিসের জোড়া আঘাত
লঙ্কান পার্টটাইম  স্পিনার জীবন মেন্ডিসের জোড়া আঘাতে কিছুটা থমকে গিয়েছিল স্বাগতিকদের রান  তোলার গতি।   ইনিংসের ৩৩তম ওভারের তৃতীয় বলে উইলিয়ামসন এবং চতুর্থ বলে রস টেইলরের উইকেটের তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন শ্রীলঙ্কাকে। উইলিয়ামসন ৫৭ এবং রস টেইলর ১৪ রান করেই আউট হন।
 
মালিঙ্গা ছিলেন বিবর্ন
শ্রীলঙ্কার পেস আক্রমণের মূল ভরসা ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। কিন্তু তাকেই পাত্তাই দেননি কিউই ব্যাটসম্যানেরা।   দশ ওভার বল করে ৮৪ রান দিয়েছেন এই পেসার।
 
এন্ডারসনের ঝড়
লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কোরি এন্ডারসনের ঝড়ে শেষ দশ ওভারে ১০১ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ড। এন্ডারসন ১০ চার দুই ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন।
 
শুরুটা ভালোই হয়েছিল লঙ্কানদের
৩৩২ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার তিলকারান্তে দিলশান এবং লাহিরু থিরামান্নে।   দুই ব্যাটসম্যান ১৩ ওভারে ৬৭ রান যোগ করেন। ১৩ তম ওভারের শেষ বলে দিলশান ২৪ রান করে  ড্যানিয়েল ভেট্টরির হাতে কট অ্যান্ড বোল্ড হলে প্রথম উইকেট হারায়  এশিয়ান জায়ান্টরা।
 
লঙ্কানদের স্বপ্নভঙ্গ
দ্বিতীয় উইকেটে কুমারা সাঙ্গকারা এবং থিরামান্নে ৪৮ বলে ৫৭ রান যোগ করে কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকলামের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিউই পেসার ২২ তম ওভারের শেষ বলে থিরামান্নাকে বোল্ড করে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্বাগতিকদের। থিরিমান্নে ৬০ বলে ৬৫ রান করে দলীয় ১২৪ রানে মাথায় আউট হন।
 
লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে ধস
থিরিমান্নে আউট হওয়ার পরেই ধস নামে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। মাহেল জয়াবর্ধনে কোন রান না করেই ড্যানিয়েল ভেট্টরির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপরই সবচেয়ে বড় আঘাত হানেন ট্রেন্ট বোল্ড। এই কিউই পেসার  সাঙ্গাকারাকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদ ফেললে পথ হারিয়ে ফেলে লঙ্কার ইনিংস। এক উইকেটে ১২২ থেকে শ্রীলঙ্কার রান দাঁড়ায় চার উইকেটে ১২৯ রান।
 
ভেট্টরির বুড়ো হাড়ের ভেল্কি
ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন। কিন্তু এখনো আগের মতোই ব্যাটসম্যানদের জন্যে আতঙ্ক হয়ে আছেন কিউই বাহতি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরি। মূলুত তার হিসেবে বোলিংয়ের কারণেই লঙ্কানদের রানে চাকা আটকে রেখেছিল। তিলকারান্তে দিলশান এবং মাহেলা জয়াবর্ধনের উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটায় তিনি দিয়েছেন।   ১০ ওভার বল করে ৩৪ রানে নিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন অভিজ্ঞ এই বাহাতি স্পিনার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।