ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

গেইল বিনোদনে বড় জয় পেল ক্যারিবীয়রা

ওয়ার্ল্ডকাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
গেইল বিনোদনে বড় জয় পেল ক্যারিবীয়রা ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন, বিনোদন এবং শুধুই বিনোদন। ক্রিকেটে জগতে বিনোদনের ফেরিওয়ালা  হিসেবেই পরিচিতি ক্রিস গেইলের।

কিন্তু তার উইলো ঘুমিয়ে ছিল দীর্ঘ ১৯ মাস। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন হয়তো শেষ হয়ে গেছে গেইল ম্যাজিক। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেও ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন এ ক্যারিবীয় জায়ান্ট।
 
ক্রিস গেইলের ঝড়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে ৭৩ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ৩৭২ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪৪.৩ ওভারে ২৮৯ রানে অল আউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
 
শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয় ক্রিকেট কর্তার খোঁচা খেয়েই জেগে উঠলেন ক্রিস গেইল, আর কপাল পুড়লো জিম্বাবুয়ের বোলারদের।
 
যারা খেলা দেখেননি তারা প্রশ্ন করতেই পারেন ক্যানবেরার মানুকা ওভালে কি করেছেন গেইল? তার উত্তর হলো কি করতে বাকি রেখেছেন এই ক্যারিবীয় দানব! ১৯ মাসের রান ক্ষুধা মেটালেন, প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। মারলন স্যামুয়েলসকে নিয়ে করলেন ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৭২ রানের পার্টনারশিপ, স্পর্শ করলেন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই ক্যারিবীয় জায়ান্ট।

১০৫ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি, কিন্তু ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান ১৩৮ বলে।   শেষ পর্যন্ত ১৪৭ বলে ২১৫ রান করে আউট হন। গেইল ঝড়ে ক্যারিবীয়রা শেষ দশ ওভারে তোলে ১৫২ রান।
 
অবশ্য গেইলের ছায়ায় মারলন স্যামুয়েলসের ইনিংসটি ঢাকা পড়লেও সেটাও ছিল আপন মহিমায় উজ্জ্বল। ১৫৬ বলে ১৩৩ রানের ইনিংসটি বিধ্বংসী না হলেও স্যামুয়েলসের ব্যাটিংই নির্ভরতা জুগিয়েছে।
 
শেষ পর্যন্ত গেইলের ঝড় এবং স্যামুয়েলসের নীরবতা মেশানো খুনে ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায়।

৩৭৩ রান তাড়া করতে নেমেই বিশাল রানের চাপেই ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। তবে বিশাল স্কোর তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই বৃষ্টির খপ্পরে পড়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তখন তাদের স্কোর এক উইকেটে ১৮ রান।

বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮ ওভারে ৩৬৩ রান। কিন্তু ৪৬ রানের মধ্যে সিকান্দার রাজা এবং হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আউট হয়ে গেলে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে জিম্বাবুয়ে।
 
তবে  জিম্বাবুয়ে হয়ে ব্র্যান্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস এবং ক্রেইগ আরভিন লড়াইটা করেছেন। শন উইলিয়ামসের ৬১ বলে ৭৬ এবং ক্রেইগ আরভিনের ৪১ বলে ৫২ রানের ইনিংস দু’টি এক পর্যায়ে অসম্ভবে সম্ভবের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু উইলিয়ামস দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় এবং আরভিন ২২৭ রানের মাথায় আউট হলে সে সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।
 
অন্যদিকে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ৬ ওভার বল করে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর তাইতো গেইলই হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।