ঢাকা: আগামি বৃহস্পতিবার নেলসনের সেক্সটন ওভালে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আইসিসির সহযোগি এই দেশের বিপক্ষে অবধারিতভাবেই জয় প্রত্যাশা করছে টাইগাররা।
উভয় দলই এবারের বিশ্বকাপে তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে। তিন ম্যাচে একটি জয়, একটি হার ও একটি পরিত্যক্ত ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের মোট ৩ পয়েন্ট। অন্যদিকে, স্কটল্যান্ড কোনো ম্যাচে জয় না পেলেও প্রতিটি ম্যাচেই লড়াই করে হেরেছে।
স্কটল্যান্ড লড়াকু দল হলেও বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান মনে করেন স্কটিশদের হারাতে তেমন বেগ পেতে হবে না মাশরাফি বিন মর্তুজার দলকে।
বাংলানিউজের এক সাক্ষাৎকারে আকরাম বলেন ‘আমার মনে হয় নরমাল গেম খেলেই স্কটল্যান্ডকে হারাবে বাংলাদেশ। ’
স্কটল্যান্ডের বোলিং নিয়ে আকরাম বলেন, ‘ওদের বোলিংয়ের চেয়ে আমাদের বোলিংয়ের ধারটা একটু বেশি। তারপরও দে আর ভেরি ডিসিপ্লিনড বোলিং সাইড। ওরা ওদের স্ট্রেন্থ সম্পর্কে জানে। ’
প্রথম দুটি ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশ্যে আকরাম বলেন, ‘আমরা যেহুতু বেশি ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছি সেহুতু সবার দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। বড় ইনিংস খেলতে হবে। দুটো ম্যাচ গেছে বাংলাদেশের। কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। যেমন ৮০-৯০-১০০ রানের। এরকম ইনিংস হলে কিন্তু আমরা ভালো একটা স্কোরে পৌঁছতে পারবো। আমরা আগে ব্যাটিং করে যদি ভালো একটা স্কোর করতে পারি, আমাদের স্পিনাররা ভালো আছে, ফাস্ট বোলাররা ভালো বল করছে। ইনশাল্লাহ, সহজেই স্কটল্যান্ডকে হারাতে পারবো। ’
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যে কোনো একটি দেশকে হারাতে হবে।
বাংলাদেশ যে রকম দল সে অনুযায়ী ক্রিকেটাররা পারফর্ম করতে পারছেন না বলে মনে করেন আকরাম। অনেকটা হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেকেন্ড রাউন্ডের চেয়ে গুরুত্বপূর্ন বাংলাদেশ যে রকম দল সেরকম পারফরম্যান্স, কিন্তু করতে পারছেনা। যদি বাংলাদেশ নিজের স্ট্রেন্থ অনুযায়ী খেলে এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে আগায় তাহলে দলের জন্য ভালো হবে। সেকেন্ড রাউন্ডে খেলতে হলে টিম ইফোর্টটা খুব ভালো দরকার। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিনটিই হয়তো একদিনে ভালো হচ্ছে না। একদিন বোলিং ভালো হলে আরেকদিন ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ব্যাটিং ওরকম ভালো হয়নি। ব্যাটিংয়ে ভালো করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডকে হারানো প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেন, ‘শুরুতে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ২৬ রানে পাঁচ উইকেট হারাই আমরা। নান্নু ভাই (মিনহাজুল আবেদিন নান্নু) খুব ভালো খেলেছিলেন। ব্যাটিংয়ে শুরুর প্রবলেমটা পরের ব্যাটসম্যানরা রিকভার করে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভালোভাবেই আমরা ম্যাচটা জিতে যাই। আমরা বিশ্বকাপের আগে কিন্তু প্র্যাকটিস ম্যাচগুলোতে খুব ভালো খেলেছিলাম। সেটা আমাদের খুব আত্নবিশ্বাসী করে তুলেছিল। ওয়ার্ল্ডকাপের আগে প্র্যাকটিস ম্যাচগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন।
কিন্তু এবার বাংলাদেশ অনুশীলন ম্যাচে ভালো খেলতে পারেনি। একটা ম্যাচে হয়তো কিছুটা ভালো করেছিল। বাকি তিনটা ম্যাচে ভালো খেলতে পারেনি। সবগুলো ম্যাচে ভালো খেললে হয়তো বাংলাদেশের শুরুটা আরো ভালো হতে পারতো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৫
.jpg)
.jpg)
