ঢাকা: ভারতের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচ জিতলেই ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে সাত নম্বরে উঠে যাবে বাংলাদেশ। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের আট নম্বর অবস্থান ধরে রাখতে পারলে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার টিকিট পাবে মাশরাফিরা।
এমন পরিসংখ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অবশ্য মনে করেন, শুধু পরিসংখ্যানের হিসেবের জন্য এই সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভারত সিরিজের গুরুত্বের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অনেকগুলো বিষয়কে সামনে এনেছেন টাইগার দলপতি।
মাশরাফির মতে, ‘ভারতের খেলা বিশ্বের সবাই দেখে। বিশ্বের আরো যেই টপ টিম আছে তাদের বিরুদ্ধে পারফর্ম করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া আসবে। এ সব দলের বিপক্ষে যারা ভালো করবে তাদের কিন্তু সবাই রিড করবে(ফলো করবে)। আগেও আমরা বড় দলের বিপক্ষে খেলেছি। তবে সেটা অনেক দিন পর পর। এবার ধারাবাহিক সিরিজ পাচ্ছি। বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ থাকলে সবার ফোকাসটা অনেক বেশি থাকে। এ সব সিরিজে ভালো করতে পারলে বাংলাদেশের ক্রিকেট নতুন একটা ধাপে পৌঁছাবে। ’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা ও র্যাঙ্কিং নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এমন পরিসংখ্যানের কথা চিন্তা করে খেললে এটা বাড়তি চাপ হয়েও দাঁড়াতে পারে। ওয়ান বাই ওয়ান ম্যাচ চিন্তা করাই ভালো। বৃহস্পতিবারের ম্যাচ শেষ হলে পরেরটা নিয়ে ভাবা যাবে। বিশ্বকাপে অনেকেই ভেবেছে আমরা পরের রাউন্ডে যেতে পারবো কি পারবো না! আমরা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান অতিক্রম করে জিতেছি। তারপর ইংল্যান্ডকে হারালাম। তাই এই মুহূর্তে আমি চাচ্ছি একটা একটা ম্যাচে খেলে এগিয়ে যেতে। ’
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ মিলে ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বাংলাদেশ ছয়টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টাকে চাপ হিসেবে না নিয়ে সামনের ম্যাচগুলো নিয়ে ‘ওয়ান বাই ওয়ান’ ভাবনা মাশরাফির।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনের ছয়টা ম্যাচ কিন্তু একদিনে আসবে না। একটা একটা করে আসবে। এ জন্যই বলছি একটা একটা করে আগাতে। আমরা আরো একটা ধাপে নিয়ে যেতে চাই বাংলাদেশকে। আজ থেকে আগামী দশ বছর পরও যারা খেলবে তাদের চেয়ে আমাদের (সিনিয়র ক্রিকেটার) দায়িত্বটা বেশি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
এসকে/এমএমএস