ঢাকা: বাংলাদেশে বাঁহাতি স্পিনারদের কদর একটু বেশি। ক্রিকেটের কুলীন ব্যাটসম্যানরাও টাইগারদের বাঁহাতি স্পিনারদের সমীহ করেন।
মিরপুর একাডেমিতে জিম শেষে সংবাদকর্মীদের জুবায়ের জানান, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তার লক্ষ্যের কথা। এ সময় তিনি ক্রিকেটের নতুন ফরম্যাট নিয়েও কথা বলেন।
টাইগার এ স্পিনার টেস্টে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছেন। সাত ইনিংসে বল করে নিয়েছেন ১৩টি উইকেট। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে টেস্টেও বল করেছেন।
আসন্ন সিরিজে দলে সুযোগ পেলে তার লক্ষ্য কি হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে লিখন বলেন, যদি দলে সুযোগ পাই নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করব। দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক বড় দল। তাদের ভালো কিছু ক্রিকেটার রয়েছে। দলে থাকলে আমি যে লাইনে বল করি, সে লাইনেই বল করে যাব। স্পটে ঠিকমতো বল ফেলতে পারলে যেকোনো ব্যাটসম্যানকেই আউট করা সম্ভব।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে স্পিনারদের নিয়ে বাংলাদেশ কি ভাবছে আর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা খেলায় তাদের বিপক্ষে স্পিনাররা কতোটা সুবিধা নিতে পারবে, এমন প্রশ্নের জবাবে জুবায়ের জানান, তাদের অনেক ক্রিকেটার আইপিএলে খেলে। সেখানে স্পিনারদের ভালোভাবে মোকাবেলা করে থাকে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। তবে, এখানে তারা খেলতে আসলে সেটা হবে ভিন্ন একটি সফর। তাই বলতে পারি, প্রোটিয়াদের আইপিএলের অভিজ্ঞতা আমাদের সিরিজে বাজে প্রভাব ফেলতে পারবে না।
ওয়ানডের নতুন নিয়মের প্রসঙ্গে টাইগার এ স্পিনার বলেন, নতুন নিয়ম আমার ভালো লেগেছে। ৪০ ওভারের পর ৩০ গজের বাইরে পাঁচজন ফিল্ডার থাকাতে বোলারদের জন্য বাড়তি সুবিধা দেবে।
দলে সুযোগ পেলে দ. আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের কিভাবে সামলাবেন, কোনো উপায় বের করেছেন কি না জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, ওদের ব্যাটসম্যানদের ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছি। ব্যাটসম্যানদের শক্তির দিকগুলো জানতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই নজর কেড়েছিলেন লেগস্পিনার জুবায়ের। কিন্তু অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাননি তিনি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে লম্বা করতে চাওয়া জুবায়ের তার কব্জির যাদুতে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে চান। সুযোগ পেলে জ্বলে উঠতে চান আসন্ন সিরিজে। ২২ গজে লিখতে চান আরও ভিন্ন ভিন্ন রেকর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ২৮ জুন ২০১৫
এসকে/এমআর