ঢাকা: এশিয়ার দুই পরাশক্তি পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ব্যাক-টু-ব্যাক ওয়ানডে সিরিজ জয়। আইসিসির ওডিআই টিম র্যাংকিংয়ে সাত নম্বরে অবস্থান।
এক সাক্ষাৎকারে আকরাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রচেষ্টার ফলস্বরুপ ভালো মানের ক্রিকেটার উঠে আসছে এবং ক্রিকেটের মান দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আমরা অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬, ১৭ দলের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য নিবেদিত। প্রতিটি জেলা ও বিভাগের নিজস্ব ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম রয়েছে। প্রতি দু’বছর অন্তর বিসিবি’র ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য ২৪-৩০ জন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের নির্বাচন করি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় স্কুল ক্রিকেটকে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টি রয়েছে। সেখান থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসবে। প্রতি বছর পাঁচশ’র অধিক স্কুল শর্টার ভার্সনের ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছে। যদিও তা সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। কিন্তু, এ বছর থেকে দীর্ঘ মেয়াদে স্কুল ক্রিকেটকে সঠিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এতে করে এখান থেকে কিছু ভালো ক্রিকেটার খুঁজে বের করতে পারব। ’
আকরাম উল্লেখ করেন, ‘অতীতে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে খেলার জন্য শুধুমাত্র ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটাররা সুযোগ পেত। কিন্তু, এখন সবকিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। ১৫ বছর আগে যখন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ছিল না, তখন বাংলাদেশ দলে খেলার জন্য ক্লাব ক্রিকেটারদের ভালো সুযোগ ছিল। ওই সময়ে অবশ্য আমাদের দেশে ক্রিকেটের এতটা জনপ্রিয়তা ছিল না। ফুটবল ছিল এক নম্বর খেলা। প্রতি বছর মাত্র দুই থেকে তিনটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু, এখন ক্রিকেটাররা খেলার জন্য অনেক সুযোগ পাচ্ছে। ’
ক্লাব ক্রিকেটকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে আকরাম বলেন, ‘একটি দেশের জন্য ক্লাব ক্রিকেটের গুরুত্ব অপরিসীম। এর সঙ্গে জাতীয় দলের স্বার্থও জড়িত। ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারে ক্লাব ক্রিকেটের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। লিগ গুলোতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই এখানে খেলে থাকে। অতীতে অজয় জাদেজা, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, ওয়াসিম আকরামের মতো বিদেশি তারকা ক্রিকেটাররা আমাদের দেশের লিগে অংশ নিয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
আরএম