ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্রোটিয়া শিবিরে জুবায়েরের জোড়া আঘাত

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৫
প্রোটিয়া শিবিরে জুবায়েরের জোড়া আঘাত ছবি: উজ্জ্বল ধর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম থেকে: জুবায়েরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিকারে সাজঘরের পথ ধরেন সিমন হারমার ও ডেল স্টেইন। ৯ রান করে জুবায়েরের বলে মুমিনুলের তালুবন্দি হন হারমার।

একই ওভারে তামিমের তালুবন্দি করে স্টেইনকে ফেরান জুবায়ের।

তবে, মাত্রই তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা টেমবা বাভুমার ব্যাটে এগুচ্ছে প্রোটিয়াদের রানের চাকা। ক্যারিয়ার সেরা রান করে টাইগার বোলারদের অপেক্ষায় রেখেছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং ক্রিজে বাভুমা ৪৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

এর আগে দলীয় ১৭৩ রানের মাথায় হাশিম আমলা, জেপি ডুমিনি আর কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা। এ তিন ব্যাটসম্যানকেই ফিরিয়ে দেন টাইগারদের বোলিং চমক মুস্তাফিজুর রহমান।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭৯.৪ ওভার শেষে দ. আফ্রিকা নয় উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৩৯ রান।

দিনের শুরুতে টাইগার বোলারদের উইকেটের অপেক্ষায় রেখে ব্যাট করে চলেন দ. আফ্রিকার হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামা ১৬ টেস্ট খেলা ডিন এলগার এবং চার টেস্ট খেলা স্টিয়ান ভ্যান জিল। তবে, ইনিংসের ১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন।

নিজের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে মাহামুদুল্লাহ ফিরিয়ে দেন স্টিয়ান ভ্যান জিলকে। ৩৪ রান করা ভ্যান জিলকে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন মাহামুদুল্লাহ। আউট হওয়ার আগে তিনি ৪৯ বল মোকাবেলা করেন।

দলীয় ৫৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট খোয়ানো দ. আফ্রিকা বেশ সতর্ক থেকে প্রথম দিনের প্রথম সেশন পার করে। প্রথম সেশনের ২৮ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে তারা ১০৪ রান সংগ্রহ করে। দিনের প্রথম সেশনে টাইগার বোলারদের হয়ে একমাত্র সাফল্য পান মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে, দ্বিতীয় সেশনে উইকেট না পেলেও দুই প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে বেশ ভালোই করেন মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ শহীদ আর জুবায়ের হোসেন।

এরপর তাইজুল, সাকিবের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফেরেন এলগার-প্লেসিস। ৪৭তম ওভারে এসে আবারো টাইগার দলে সাফল্যের দেখা মেলে। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে উইকেটের পেছনে লিটন দাশের গ্লাভসবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডিন এলগার। আউট হওয়ার আগে তিনি ১১১ বল মোকাবেলা করে ৪৭ রান করেন।

পরের ওভারেই সাকিব আল হাসান ফেরান ৪৮ রান করা ফাফ ডু প্লেসিসকে। ১২২ বল মোকাবেলা করা প্লেসিস সাকিবের দারুণ এক ঘূর্ণিতে এলবির ফাঁদে পড়েন। এলগারকে সঙ্গে নিয়ে প্লেসিস জুটি গড়েন ৭৮ রান।

দ্বিতীয় সেশন থেকে প্রোটিয়ারা তোলে মাত্র ৬১ রান আর টাইগার বোলাররা তুলে নেয় আরও দু’টি উইকেট। তিন বলের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসিস আর ডিন এলগারকে হারিয়ে হাশিম আমলা আর টেমবা বাভুমা জুটি গড়ার চেষ্টা করেন।

দিনের তৃতীয় সেশনে নেমে আমলাকে ফেরান মুস্তাফিজ। দলীয় ৬০তম ওভারে উইকেটরক্ষক লিটনের তালুবন্দি করে হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। পরের বলেই ডুমিনিকে ফিরিয়ে দেন এ কার্টার মাস্টার। অভিষেকে হ্যাটট্রিক মিস করলেও এক বল পরেই কুইন্টন ডি ককের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন মুস্তাফিজ। ফলে, দলীয় ১৭৩ রানের মাথায় সফরকারীদের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে।

আউট হওয়ার আগে প্রোটিয়া দলপতির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৩ রান। মুস্তাফিজের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে কোনো রান না করেই ফেরেন ডুমিনি। আর বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ডি ককও রানের দেখা পান নি।

ইনিংসের ৭১তম ওভারের পঞ্চম বলে ভারনন ফিল্যান্ডার জুবায়েরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে স্লিপে দাঁড়ানো সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে সকাল সাড়ে নয়টায় মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ এবং সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে এ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দ. আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলা।

টাইগারদের হয়ে বল হাতে আক্রমণ শুরুর দায়িত্ব পান চার টেস্ট খেলা মোহাম্মদ শহীদ।

এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোষাকে অভিষেক হয় টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের চমক মুস্তাফিজুর রহমানের। প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকার, নাসির হোসেন ও রুবেল হোসেনের।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের ভিত্তিতে ৪টি সিরিজে মোট ৮টি টেস্ট খেলেছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সবগুলো টেস্টেই বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে, এবার সাদা পোষাকে নিজেদের সেরাটা দিয়ে সফরকারীদের বিপক্ষে ভাল করতে চায় টাইগাররা।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ শহীদ।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: ডিন এলগার, ফাফ ডু প্লেসিস, হাশিম আমলা (অধিনায়ক), জেপি ডুমিনি, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), স্টিয়ান ভ্যান জিল, ভারনন ফিল্যান্ডার, সিমন হারমার, মরনে মরকেল, ডেল স্টেইন ও টেমবা বাভুমা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ২১ জুলাই ২০১৫
এমআর

** জুবায়ের ফেরালেন ফিল্যান্ডারকে
** চাপেই রয়েছে প্রোটিয়ারা
** মুস্তাফিজের আঘাতে দিশেহারা প্রোটিয়ারা
** দ্বিতীয় সেশনে টাইগারদের দু’টি সাফল্য
** তাইজুল, সাকিবের ঘূর্ণিতে সাজঘরে এলগার-প্লেসিস
** প্লেসিস-এলগারের জুটি, একমাত্র সাফল্য রিয়াদের
** দ্বিতীয় সেশনে নেমেছে মুশফিক বাহিনী
** মাহামুদুল্লার শিকারে সাজঘরে ভ্যান জিল
** সতর্ক শুরু প্রোটিয়াদের
** ‍ফিল্ডিংয়ে নেমেছে টাইগার বাহিনী
** টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে প্রোটিয়ারা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।